নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৮
বাংলাদেশের রাজনীতি, বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন উৎসাহ অনেক বেড়ে গেছে। সম্প্রতি গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ তাঁর প্রতিক্রিয়া জানায়। এই বিষয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ও তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে মার্কিন দূতাবাসকে বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন। এর জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য, তাঁর নিজস্ব নয়। তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মাত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবই তিনি প্রকাশ করেছেন। এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, শুধু বার্নিকাট বা ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন নিয়ে অতি উৎসাহী। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, মার্কিন নীতি আওয়ামী লীগের পক্ষে নয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো বিরোধ নেই। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো।’ তবে তিনি বলেন, ‘গাজীপুর এবং খুলনা নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলেছে।’ ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘আমরাও আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক চাই। এটা নিয়ে তো কোনো বিতর্ক নেই।’ প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা মনে করেন, কিছু ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছে।’ কিন্তু কারা দিচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
তবে, বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত কয়েকমাসে বাংলাদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এরা মার্কিন নীতি নির্ধারকদের কাছে বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এরাই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নাক গলাতে উৎসাহিত করেছে।
গত মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক দীর্ঘ পুরোনো। যদিও বলা হয়, ডেমোক্রেটদের সঙ্গেই বিশেষ করে ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান দুই দলেই ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বদল হয়, নীতি নয়। ড. ইউনূস মূলত গ্রামীণ ব্যাংক বিষয়ে কথা বলতে যেয়ে বাংলাদেশে সুশাসনের অভাব, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেছেন। অন্তত দুটি সিনেট সভায় ড. ইউনূস বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মার্কিন শক্ত ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
ড. ইউনূসের সফরের কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন ড. কামাল হোসেন। নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ড. কামাল ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। ড. কামালও এক ঝুড়ি অভিযোগ নিয়ে যান স্টেট ডিপার্টমেন্টে। সেখানেও তিনি বাংলাদেশে ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’ শাসনব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে তারও উদাহরণ দেন। অতি সম্প্রতি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন সফর করে এসেছেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের এই উপদেষ্টাকে বাংলাদেশে মার্কিন এজেন্ট বলা হয়। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে বাংলাদেশে প্রতিটি রাজনৈতিক বাঁকে তার অবস্থান ছিল মার্কিন নীতির পক্ষে। জানা গেছে, বাংলাদেশ নিয়ে এক পরামর্শক সভায় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনিও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই কথা বলে এসেছেন বলে জানা গেছে। এসব কারণেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে বলে কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। তবে, সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো অবশ্য মার্কিন অতি উৎসাহের অন্য কারণও দেখছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বাণিজ্যে চীন এবং ভারতের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ পিছিয়ে পড়েছে। এটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চিন্তিত করে তুলেছে। একারণেই সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য সুশাসন এবং নির্বাচন ইস্যুকে সামনে এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ঐ সূত্র জানিয়েছে, পেট্রোলিয়াম, বিদ্যুৎ এবং সমুদ্র অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের কোম্পানির পক্ষে কয়েকটি টেন্ডারে তদ্বির করে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কুশল বিনিময় ছাড়া বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না। বাংলাদেশে মার্কিন বাণিজ্য স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়াতেই তারা এখন সরকারের উপর সুশাসন, নির্বাচন ইত্যাদি চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। এটাই সারা বিশ্বে মার্কিন নীতি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।