নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ১০ জুলাই, ২০১৮
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গতকাল সোমবার সিঙ্গাপুর গেছেন। মেডিকেল চেকআপের কথা বলা হলেও তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ তিন নেতা দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলদার এমপি, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি ও মেজর মো. খালেদ আখতার (অব.)। তাই এই মেডিকেল চেকআপের সঙ্গে পূর্বের কয়েকবারের মতোই রাজনৈতিক বৈঠকও হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এর আগেও বেশ কয়েকবার জাতীয় পার্টির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সহকারের সিঙ্গাপুর গিয়ে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এবারও তেমনই বৈঠক হচ্ছে বলেই একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট গড়তে দীর্ঘদিন ধরেই তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন তারেক জিয়া। কয়েক দফায় সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে এরশাদ বা তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তারেক জিয়ার প্রতিনিধিরা। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল থাকলেও জাতীয় পার্টিকে নিজেদের কাছে টানতে বদ্ধপরিকর তারেক। ২০ দলের জনসমর্থন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। এই ২০ দলের ১৯ দলই তাদের একটি সিটই রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ।
বিভিন্ন সূত্রের খবর, এর আগে বিএনপির সঙ্গে জোটে এরশাদ প্রেসিডেন্ট পদ চেয়েছিলেন। এবার এরশাদ কি চাইবেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে রাজনৈতিক মহলে। এরশাদকে জোটে টানতে পারলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই পরিবর্তন হতে পারে। তাই অতি অল্পতে এরশাদ সন্তুষ্ট হবেন না বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে দলের টানার চেষ্টা ছাড়াও এবার এরশাদকে দিয়ে অন্য কিছু করাতে চাচ্ছেন তারেক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাচ্ছেন কারন্তরীণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এরশাদ মুখ খুলুক। আর এক্ষেত্রে তারেকের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, এরশাদকে দলের টানার চেয়ে অর্থের বিনিময়ে মুখ খোলানো সহজ। অর্থের বিনিময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে কথা বলবেন বলেই মনে করছেন তারেক।
সিঙ্গাপুরে তারেকের প্রতিনিধিরা এরশাদকে কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পারল তা বোঝা যাবে মেডিকেল চেকআপ শেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান দেশে ফিরলেই। তাঁর কথাবার্তাই বলে দেবে সিঙ্গাপুরে তারেক মিশন কতটুকু সফল ।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।