নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ১০ জুলাই, ২০১৮
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ড. কামালকে দেখতে চান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস। এই লক্ষ্যেই ভারতের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে তিনি তদবির শুরু করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সোশ্যাল বিজনেস ডে উপলক্ষে গত ২৮-২৯ জুন দুই দিনব্যাপী ভারতের বেঙ্গালুরুতে সোশ্যাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হয়। ইউনূস সেন্টার ও ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস ইন্ডিয়ার যৌথ আয়োজনে এই সম্মেলনে ৪২ টি দেশের ১২০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোশ্যাল বিজনেস সামিট শেষে গত ৩০ জুন দিল্লিতে যান ড. ইউনূস। সেখানে তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতের অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। ড. ইউনূস তাঁদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তি আসলে দেশের উন্নতি হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হৃদ্যতাপূর্ণ ও আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
ড. ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব তীব্র হবে, যা ভারতের জন্যই খারাপ। বিএনপির ব্যাপারে কোনো অনিচ্ছা থাকলে তৃতীয় শক্তিকে আনতে পারেন তারা। আর সেক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেন তাঁদের পছন্দের। সব দল যদি ড. কামালকে স্বীকৃতি দেয় এবং ভারত যদি এ ব্যাপারে সমর্থন দেয় তাহলে কামালই হতে পারেন বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আর এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও আরও নিবিড় হবে।
ড. ইউনূসের প্রস্তাবে স্পষ্ট কিছু জানায়নি ভারত। তবে বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।