নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ১১ জুলাই, ২০১৮
কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য বা দলীয় নেতাকর্মীরা গত ১১দিন থেকে দেখা করতে পারছেন না। আজ বুধবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম জিয়াকে ডিভিশনপ্রাপ্ত হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ ফখরুলের।
সত্যিই কি বেগম জিয়াকে ভিআইপি বন্দীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না? তাঁর সঙ্গে স্বজন ও অন্যান্যরা কি যথেষ্ট দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন না?
জানা গেছে, বেগম জিয়ার সঙ্গে তাঁর স্বজনরা সর্বশেষ দেখা করেছেন ৩০ জুন। হিসেবে তাঁর স্বজন ও অন্যান্যদের বেগম জিয়ার সঙ্গে পরবর্তী দেখা করার সময় ১৫ জুলাইয়ের পর। কারণ কারা বিধি অনুযায়ী একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির যদি ডিভিশন থাকে তাহলে মাসে দুইবার করে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ ১১ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ মাস ৩ দিন ধরে তিনি কারাগারে আছেন। কারাবিধি অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে খালেদা জিয়া তাঁর স্বজন ও অন্যদের সঙ্গে ১০ দিন দেখা করার সুযোগ পান।
অথচ খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়স্বজন এখন পর্যন্ত মোট ১৬ বার সাক্ষাৎ করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একবার দেখা করেছেন স্থায়ী কমিটির সঙ্গে, আরেকবার আলাদাভাবে। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন ২ দিন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মোট ৭ দিন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন ২ দিন। তাহলে বেগম জিয়ার সঙ্গে স্বজন ও অন্যন্যরা দেখা করেছেন মোট ২৮ বার।
পাঁচ মাসে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে যেখানে বেগম জিয়া স্বজন ও অন্যান্যদের সঙ্গে ১০ বার দেখা করার সুযোগ পান সেখানে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন এর প্রায় তিনগুণ। এরপরও কীভাবে বিএনপি থেকে অভিযোগ তোলা হয় বেগম জিয়াকে সাক্ষাতের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না?
বেগম জিয়াকে দেওয়া তিনগুণ বেশি সুযোগই আরেকটি বিষয় প্রমাণ করে আইন সবার জন্য সমান না। সমান হলে কেউ আইনের নির্দিষ্ট সময়ের তিনগুণ সুযোগ পেত না।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।