নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ১২ জুলাই, ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই লন্ডনে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কার্লাইলকে জানান ভিসা বাতিল করায় তাঁর ভারতে প্রবেশের অনুমতি নেই। এরপর তাঁকে লন্ডনের ফিরতি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়।
ভারতে লর্ড কার্লাইলের অভ্যর্থনা টিমের পক্ষ থেকে লুবনা আসিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের সদস্য কার্লাইল খালেদার আইনজীবী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশে এসে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ভিসা দেয়নি। এরপর তিনি দিল্লির লা মেরিডিয়ান হোটেলে ১২ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এতে ঢাকা থেকে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সরকার কার্লাইলের ভিসা বাতিল করায় এ সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেল।
ব্রিটিশ এ আইনজীবী বিএনপির নেতাকর্মীদের মতোই মনে করেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত’ এবং তাঁর বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে সেগুলো ‘অগ্রহণযোগ্য’। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। এ বিষয়গুলো নিয়েই কার্লাইল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন যে, বাংলাদেশ সরকারের আপত্তির কারণেই নাকি দিল্লি কার্লাইলকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। ঘটনা আসলে তা নয়। কার্লাইলকে ভারতের ভিসা না দেওয়ার আসল কারণ হলো, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা। ইসলামিক ফ্যানাটিকদের সঙ্গে কার্লাইলের যোগসাজশ পেয়েছে ভারত। ভারতের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং তার ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছোটা শাকিলের লন্ডনে অবস্থানের বিষয়েও এক সময় সহযোগিতা করেছিলেন লর্ড কার্লাইল। দাউদ ইব্রাহিমের মতো মাফিয়া ডন ও তাঁদের দোসরদের ব্যাপারে ভারত সরকারের অবস্থান সবসময়ই কঠোর। আর সে কারণেই লর্ড কার্লাইলকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই একই কারণে দুবাইয়ের আট-দশজন আইনজীবীকেও কখনো ভারতের ভিসা দেওয়া হয় না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন