নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ সোমবার সকালে সাক্ষাৎ করেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফরা। এই সময় কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীকে আজকের দিনের কথা স্মরণ করে দেন। কথিত এক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুর্নীতির মিথ্যা মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত স্টাফদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীরই নির্দেশ আছে খারাপ দিনগুলোকেই যেন মনে করা হয়। কারণ এমন দিনগুলোকে স্মরণ না করা হলে এগুনো সম্ভব নয়। খারাপ দিনগুলোকে অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আজ দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের পর অনানুষ্ঠিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই কারারুদ্ধ হওয়ার এবং প্রায় এক বছর কারাবন্দী জীবনের কথা তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,বন্দী অবস্থায় আমাকে যে কি অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে রাখা হয়েছে তা বলবার নয়। সে তুলনায় খালেদা জিয়া যে কারাগারে আছেন, অনেক ভালো আছেন।
মন্ত্রিপরিষদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মামলায় নয়, হয়রানিমূলক ভাবেই আমাকে বন্দী করা হয়েছিল। আর খালেদা জিয়া কারাগারে গেছেন দণ্ডিত হয়েছে। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দুর্নীতি প্রমাণিত হয়ে আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দিয়েছে। এরপরই তো তিনি কারাভোগ করছেন।
বেগম জিয়ার কারাজীবনের সঙ্গে তৎকালীন কারাজীবনের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া এখন যে সুযোগ পাচ্ছে তখন এগুলো চিন্তাই করা যেত না। আমাকে নিয়মিত কিছু ওষুধ খেতে হতো। কিন্তু অনির্বাচিত তত্ত্বাবধয়াক সরকারের সময় কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ওষুধ শেষ হয়ে গেলেও তা এনে দেওয়া হয়নি। খাবার ও পানির কষ্ট দেওয়া হয়েছে। গরমের সময় প্রায়শই ইচ্ছাকৃত ভাবে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দিয়ে কষ্ট দেওয়া হতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এখন যত সুযোগ পাচ্ছেন তার এক চুলও পাইনি আমি।
বেগম জিয়ার সিএমএইচে না যাওয়ার কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁকে (খালেদা জিয়া) সিএমএইচে নিতে চাইলেও, তিনি যেতে চান না। অথচ আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে সিএমএইচে যেতে চেয়েছিলাম। কারণ সেখানেই সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। কিন্তু আমাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়নি। নেওয়া হয়েছিল স্কয়ারে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বেগম জিয়া যে কারাগারে এখন গৃহপরিচারিকা পান। অথচ তখন আমার সঙ্গে কাউকে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হতো না।
প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী অবস্থার কথা স্মরণ করে বলেন, আমাদের সতর্ক থাকবে হবে এমন দিন যেন আর না আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি ভালোমতো কাজ না করি, যদি সতর্ক না থাকি তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা আবার আসবে।
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আবার যদি ষড়যন্ত্রকারীরা আসে তাহলে এবার কোনো ঝুঁকি তারা নেবে না। আমরা দেশের যে উন্নয়ন করেছি, দেশকে যে পর্যায়ে নিয়েছি, তাতে আর আমাকে তারা কারাগারে নেবে না। কারাগারে নিয়েও ভয়ে থাকবে তারা। তাই ঝুঁকিহীন করতে এবার ক্ষমতায় আসলে তারা আমাকে শেষ করতে চাইবে। আমাকে হত্যা করা হবে।
উল্লেখ্য, আজ শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস স্মরণে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে শুধু যুবলীগেই ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। জাতীয় দৈনিকে যুবলীগের ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন