নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০১৮
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেঠক গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ বিএনপির তিন নেতার আবার ভারত সফর নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বেঠকের আলোচনায় উঠে আসে এই ভারত সফর দলীয় সিদ্ধান্তে করা হয়নি। ভারত সফর নিয়ে আগে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনাই হয়নি। দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ও তাঁদের মতামত নেওয়া ছাড়াই ভারত সফরের আয়োজনের তীব্র সমালোচনা করা হয় গতকালের বৈঠকে।
এ পর্যায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারত সফরের বিষয়টি দলের সিদ্ধান্তেই হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তেই সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
তখন স্থায়ী কমিটির সিনিয়র কয়েকজন সদস্য বলেন, না শুধু দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তেই এমন সফর আয়োজন করা যাবে না। এটি কোনো একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন তবে তা অন্তত মহাসচিবকে তো জানাতে হবে। তিনিও এই সফরে যাওয়ার সদস্যদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। চাইলে তিনি নিজেও সফরে যেতে পারেন।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, এখন থেকে শুধু তারেক জিয়া একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। যেহেতু তিনি দেশে নেই এবং চেয়ারপারসন বেগম জিয়া কারাগারে, তাই দলীয় যেকোনো সিদ্ধান্ত স্থায়ী কমিটির মাধ্যমেই নিতে হবে। প্রয়োজনে তারেকের সিদ্ধান্ত ও স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মিলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকালের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত নেয়, ভারতের কাছে আর নতজানু হওয়ার কৌশল নয়। তাদের ওপর বিএনপি চাপ সৃষ্টি করবে।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডে যাওয়া আবদুল আউয়াল মিন্টু এরই মধ্যে ব্যাংকক হয়ে ভারতে চলে গেছেন। তাঁর সঙ্গে লন্ডন থেকে একজন বিএনপি নেতা এবং বাংলাদেশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।