নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৩ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০১৮
দিনের বেলা তিনি এখন মস্ত আওয়ামী লীগার। রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানেই তাঁকে দেখা যায়। স্যুটেড-বুটেড হয়ে সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত। সরকারের মন্ত্রী এমপিদের সঙ্গে তাঁর সারাদিন দহরম মহরম। তদবির করে তিনি কাজও বাগিয়ে নেন। রাত বাড়তে থাকে আর পরিচয় পরিবর্তন হতে থাকে তাঁর। রাতে হয়ে যান বিএনপির ত্যাগী কর্মী। বিএনপির জন্য তিনি প্রামাণ্যচিত্র বানান। বিএনপির প্রামাণ্যচিত্রে তিনি কণ্ঠও দেন। বিএনপি এখন মিডিয়াতে কী কী বিষয় করবে তাঁর প্রধান পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। তাঁর নাম শাইখ সিরাজ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশানের লেকশোর হোটেলে বিএনপি এক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে। বৈঠকে বিএনপির আমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকের শুরুতেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ৭ মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। সেই প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা হলেন শাইখ সিরাজ।
তিনিই সেই শাইখ সিরাজ যিনি কিছুদিন আগে জোর করেই বাগিয়ে নেন স্বাধীনতা পদক। এই স্বাধীনতা পদকের তালিকায় প্রথম দিকে তাঁর নামই ছিল না। তাঁর তদবিরেই এতই কারিশমা, এর গুণেই তিনি শেষ মুহূর্তে তালিকায় নিজের নাম ঢুকিয়ে পদক বাগিয়ে নিয়েছেন। স্বাধীনতা পদক পাবার পর সাংবাদিকদের কাছে শাইখ সিরাজের দম্ভোক্তি ছিল, সরকার তো সরকার। রাষ্ট্র সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। কখনো এক সরকার আসে আরেক সরকার যায়। এভাবেই তো হয় জিনিসগুলো। এখন জনগণকে তার কাজের জন্যে রাষ্ট্র তাঁকে পুরস্কৃত করে। আমি উভয়ের কাছেই হয়তোবা, কাজটির জন্য সবার কাছে সমাদৃত, সেটা হয়তো একটা বড় কারণ হতে পারে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাঁরা বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে ঢুকেছে তাঁদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তাঁরা আওয়ামী লীগের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু এই শাইখ সিরাজ সম্পর্কে তাঁকে কে সতর্ক করবে?
শাইখ সিরাজরা এক সময় জিয়ার খাল কাটা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছিল। এখন তাঁরা আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রামাণ্যচিত্র থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের প্রামাণ্যচিত্র তাঁরা অনেকটা জোর জবরদস্তি করেই বাগিয়ে নিচ্ছে। তাঁরাই আবার রাতের অন্ধকারে বিএনপির জন্য প্রামাণ্যচিত্র বানাচ্ছে। বিএনপিকে কী কী প্রচারণা করতে হবে তার পরামর্শ দিচ্ছে। এদের সম্পর্কে সরকারকে সতর্ক করবে কে?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।