নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০১৮
রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একক প্রার্থীর দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল ২০ দলীয় জোট। ৪ জুন বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল ২০ দল।
ঐদিন বৈঠক শেষে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে একক প্রার্থী দেবে ২০ দল। যিনি প্রার্থী হবেন, তার পক্ষে ২০ দল সম্মিলিতভাবে কাজ করবে।’
সিলেট সিটি নির্বাচনে এখনো দেখা যাচ্ছে মেয়র পদে জামায়াতের প্রার্থী ও বিএনপির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীও এখনো প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গত তিনদিনের নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে জামায়াতের প্রার্থী সিলেট মহানগর আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের পক্ষে বিএনপি ছাড়া ২০ দলের সবাই কাজ করছে। সিলেটের স্থানীয় ‘এলডিপি’, ‘ন্যাপ’ এবং ২০ দলীয় জোটের অন্যান্য ইসলামী দলগুলো জামায়াতের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কাজ করছেন।
গতকাল এবং আজকে বিভিন্ন সভায় জামায়াতের প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের নিজেকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাও অংশগ্রহণ করছেন। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় ২০ দলীয় জোটের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। একারণে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী আসলে কে?
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।