নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। দেশে ফেরার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন। ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন ,‘এখন আমি ট্রানজিটে আছি। সবুজ সংকেত পেলেই দেশে ফিরবো।’ সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে তাঁর। বিচারপতি সিনহা ক্যানসারে আক্রান্ত। সিঙ্গাপুরেই তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা করান। বিচারপতি সিনহা দাবি করেছেন একটি মহল তাঁর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নষ্ট করেছে। তাঁর মতে, ‘একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক বিচারপতি আমার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে বিষিয়ে তুলেছেন। ওই বিচারপতির জন্যই আমার আজকের এই অবস্থা।’ সিনহা জানিয়েছেন যে, লন্ডনে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন লেখক-বুদ্ধিজীবী প্রধানমন্ত্রীর ভুল ভাঙানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিচারপতি সিনহার বিষয় নিয়ে ওই লেখক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাও তাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।
বিচারপতি সিনহা তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন যে, তাঁর ব্যাংকে যে দুটি পে অর্ডার জমা হয়েছিল , সেটি ছিল তাঁর বাড়ি বিক্রির টাকা। এ সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। বেশ কয়েকটি শর্তে দেশে ফিরে অবসর জীবন যাপন করতে চান বিতর্কিত এই সাবেক প্রধান বিচারপতি। এসব শর্তের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো, দেশে ফিরে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। যত্র তত্র সভা সমাবেশ কিংবা সেমিনারে কোনো বেফাঁস মন্তব্য করা যাবেনা। সব শর্তেই রাজি হয়েছেন সিনহা। তাঁর মতে, এই বয়সে বিদেশ বিভুঁইয়ে একা থাকা বড়ই কষ্টের। তাঁর স্ত্রী সুষমা সিনহা ঢাকা থেকে আজ কালের মধ্যেই সিঙ্গাপুর আসছেন। জানিয়েছেন, সরকারের অনুমতি পেলে আর যুক্তরাষ্ট্রমুখী হবেননা। সরাসরি ঢাকায় গিয়ে শান্তিতে দিন কাটাবেন। কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সরকার এখনো বিচারপতি সিনহাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেন না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে বিপজ্জনক বলে মনে করছে সরকারের প্রভাবশালী মহল।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।