নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩২ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮
আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে জমে উঠেছে প্রচারণা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলরা দিনরাত একাকার করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। মেয়র প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিটি দলেরই স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করছেন। নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন কর্মী ও সমর্থকরা। তবে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
রাজশাহীতে নৌকার পক্ষে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা। খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা ব্যাজধারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা মার্কার প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করছেন। অগণিত দলে ভাগ হয়ে প্রতিদিনই তাঁরা নৌকার পক্ষে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে প্রচারণা চালালেও কর্মী ও সমর্থকদের তেমন একটা দেখা পাওয়া যাচ্ছে না ভোটের মাঠে। কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগরের নেতারা যেখানে প্রচারণায় যাচ্ছেন, কর্মীরাও শুধু সেখানেই যাচ্ছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শুরু থেকেই ভোটের প্রচারণার সাথে যুক্ত আছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং রাজশাহী জেলার ছয়টি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সিটি নির্বাচনের প্রচারণার সাথে আছেন। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যারা সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন না আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না তাদের।
স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, মামলার ভয়ে তৃণমূলের কর্মীরা ভোটের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে না। দলের স্থানীয় বিরোধ ও কোন্দল স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের নিষ্ক্রিয়তার বড় একটি একটি কারণ।
স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বুলবুলের কাছে মিনু মহানগর সভাপতির পদ হারিয়েছিলেন। তাই সাবেক মেয়র মিনুর অনুসারীরা পুরোপুরি বুলবুলের প্রচারণায় আসেনি। মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তার অনুসারীদেরকেও ভোটের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংসদ নির্বাচনে নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতেই নেতারা সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় নেমেছেন।
জানা যায় ভোটের জন্য পোলিং এজেন্ট সংকটে রয়েছে বিএনপির মেয়র প্রার্থী। এজেন্ট পেতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক এজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণে আর মাত্র ৯ দিন বাকি। এমন সময়ে বিএনপির কর্মীদের ভোটের মাঠে না থাকাটা দলটির জন্য খুবই হতাশাজনক বলে মনে করছেন অনেকেই।
বাংলাইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।