নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮
ক’ দিন আগেও আওয়ামী লীগের আক্রমনের প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিলেন তিনি। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে লন্ডনে আনুষ্ঠানিক আবেদনও জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বলা হয়েছিল, যেকোনো মূল্যে তাঁকে বাংলাদেশের ফিরিয়ে নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। কিন্তু হটাৎ করেই সব চুপসে গেল। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগে থমকে গেছে। তারেক বিরুদ্ধে বক্তব্যও দৃশ্যমান নয়, বরং আওয়ামী লীগের নেতারা কথার সব গোলা তাক করেছে বেগম খালেদা জিয়ার দিকে। অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কর্মকান্ড সরকারের পক্ষে।
যেমন, খুলনা এবং গাজীপুরের পর তিন সিটিতে ৩০ জুলাই নির্বাচনের ব্যাপারে বেগম জিয়ার তীব্র আপত্তি ছিলো। তারেক জিয়ার নির্দেশেই সরকারের মুখোশ উন্মোচনের জন্য এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা স্পষ্ট করেই দৃঢ়তার সঙ্গে বলছে যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগ কিভাবে নিশ্চিত হলো যে, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে? বিশেষ করে, বিএনপি নেতারা এখনও ঘটা করেই বলছে, বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন নির্বাচন নয়। অনেক কট্টরপন্থী নেতা তো আরো আগ বাড়িয়ে বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে তবেই নির্বাচন। কিন্তু এসব গর্জন এবং হুংকার ছাপিয়ে লন্ডনে তারেক জিয়া ৩০০ আসনে মনোনয়ন নিয়েই ব্যস্ত। তিনি ঢাকাতেও নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির মধ্যেই অনেকের ধারণা, তারেক জিয়াকে সম্ভবত সরকার ‘ম্যানেজ’ করে ফেলেছে। আগামী এক টার্ম আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তারেক সম্ভবত সম্মতি দিয়েছে। আর এই সমঝোতা হয়েছে ভারতের মাধ্যমে এমন দাবি বিএনপির অনেক নেতার। তাদের মতে, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবীরের ভারত সফরেই এই সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে। এরপর থেকেই দৃশ্যপটে পরিবর্তন দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপি ভারত বিরোধিতা ছেড়ে যেমন ভারতকে খুশি করার নীতি গ্রহণ করেছে, তেমনি সরকারও তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দাবি আপাতত বন্ধ করেছে। তাহলে কি তারেক জিয়া লন্ডনে থাকার শর্তে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধীনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেছেন, টাকার জন্য তারেক সব কিছুই করতে পারে। টাকার জন্য তারেক তাঁর মাকে জেলে রেখে রাজনীতি থেকে নির্বাসনেও পাঠাতে পারে।
ঐ নেতার মতে, তারেক কোন অবস্থাতেই লন্ডনের আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে কারাভোগের ঝুঁকি নেবে না। এমনকি তাঁর মায়ের কষ্টও তাঁর স্বার্থের কাছে খুবই তুচ্ছ। সে সম্ভাবত তাঁর নিজের স্বার্থে দলকে ব্যবহার করছে।
একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসও তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। তাহলে কি তারেকের মাধ্যমেই বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনছে আওয়ামী লীগ?
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন