ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা থেকে আমাদের প্রত্যাশা কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় এসেই দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের দিকে নজর দেন তিনি। নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছেন। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, দেশে বেকারত্বের হার কমেছে, নাম লিখিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে মহাকাশে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ, শুরু হয়েছে নৌবাহিনীর সাবমেরিন যুগ। দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আরও আছে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় ও সমুদ্র সীমা বিজয়ের মতো অর্জন। অর্জনগুলোর সংখ্যা এতটাই বেশি যে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে তার পরিমাপ করা যাবে না।

এসব অর্জনের জন্য এবার দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করার উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই উদ্দেশ্যে আগামী ২১ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে দলটি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন, অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন করায় তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা তার শুরুটা এত সহজ ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী হায়েনাদের কারণে তাঁর সে স্বপ্ন সফল হয়নি। ১৫ আগস্টের এক কালরাতে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাবিরোধী শকুনেরা। পরের দুই দশকে স্বাধীনতা বিরোধী ও স্বৈরাচারদের শাসনে বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশ, বিধ্বস্ত হয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা। এই উত্তাল সময়ে সংগঠন হিসেবেও সংকটের মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ।

এই পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বহুধা বিভক্ত আওয়ামী লীগকে রক্ষায় হোটেল ইডেনে দলীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তখনও কিন্তু শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পারেননি। অবশেষে ১৭ মে ১৯৮১ সালে স্বৈরাচারী সরকারের সকল ভ্রুকুটি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে যদি সে সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত না করা হতো, তবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হত কেউ জানে না। দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে শক্তিশালী করে তুলতে এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দলকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রধান দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দুই দশক পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সে সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকার এবং ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন অগণতান্ত্রিক সরকারের সময় এসব উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আবার ২০০৮ সালে এক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জনগণের রায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে জাতির পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে চলেছেন তিনি।

বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এমন সময়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৪১ এর ঘোষণা করেছেন, আবার যদি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে আসে তবে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আর অতীতে দেখা গেছে, জাতীয় নির্বাচনে যতবার স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মান্ধ-মৌলবাদীরা এক হয়েছে ততবারই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী এই শক্তিটি আবার শক্তি সঞ্চয় করে মাঠে নেমেছে। আর তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে শক্তিটিকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে সেক্যুলার বাম দলগুলোও। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনটি যে আওয়ামী লীগের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত। তাই এই কঠিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। দেশকে এত কিছু দেওয়ার পর এই সংবর্ধনাটি তাঁর প্রাপ্য ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার অবদানের সঙ্গে মানানসই উপহার একটিই হতে পারে – আগামী নির্বাচনে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে জনসেবার সুযোগ করে দেওয়া। দেশের উন্নয়ন, জনগণের সেবাই শেখ হাসিনার ধ্যান-জ্ঞান। তাই জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়াই হবে শেখ হাসিনার জন্য বড় উপহার। এ লক্ষ্যে সকল বিভেদ ভুলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জনগণের সামনে শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের খতিয়ান তুলে ধরতে হবে। এসব উন্নয়ন সম্পর্কে জানলে অবশ্যই জনগণ আবার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই একতাবদ্ধ থাকার প্রতিজ্ঞাটিই আসলে শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা থেকে দেশের সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কাজ করার দায়িত্ব কিন্তু কেবল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই নয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বাংলাদেশকে আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান তাঁদের প্রত্যেকের দায়িত্ব শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। যেদিন শেখ হাসিনা আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে, সেদিনই বলা যাবে, বাংলাদেশের উন্নয়নের সারথী এই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর যোগ্য সংবর্ধনা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন এবং এই লক্ষ্যে তাঁর পেছনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে এমন চেতনার বিস্তারই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা থেকে আমাদের প্রত্যাশা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তাদের সব অপকর্মকে আড়াল করতেই জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া, গ্রেপ্তার হওয়া ও কারাগারে যাওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার নব্য বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম, অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‌‘দেশের মানুষ নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা তখন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ আদালতকে দিয়ে সাজা প্রদান ও জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নির্মম আচরণ, দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার তাদের দুঃশাসন চালাতে আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহসভাপতি ইসলাম উদ্দিন, হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন মন্টি, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন, হাজারীবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মাসুম, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, মহিলা দল নেত্রী ফাহমিদা এবং বংশাল থানার অপর একটি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ জন নেতাকর্মী যথাক্রমে মো. সোহেল, মো. সিদ্দিক, সাহেদ, আনিস, সাবের ও মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না এমপি-মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ এই হেভিওয়েট নেতা। 

শুধু তাই নয়, এর আগে একাধিকবার আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় বিভিন্ন ফোরামে এ নির্দেশ দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ নেতারাও নিয়মিত সংবাদ সন্মেলনগুলো এই বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে এবার উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না। দল থেকে কাউকে মনোনয়নও দেবে না। এমনকি দলের কোন নেতাকর্মী দলীয় পদ-পদবীও ব্যবহার করে নির্বাচন করতে পারবে না। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান না নেয় কিংবা সমর্থন না জানায় সে ব্যাপারে বারংবার হুশিয়ার উচ্চারণ করে আসছে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। কারণ আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং নির্বাচনে যেন কোন ধরনের কোন্দল বা সহিংসতার ঘটনা না ঘটে।

তবে দলের এই নির্দেশনা মানছে না আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আহমদ হোসেনের কথাই ধরা যাক। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিএনপির সাবেক নেতা শিল্পপতি আসাদুজ্জামান ওরফে নয়নকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আসাদুজ্জামান বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি এলাকায় বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচিত। শনিবার রাতে সংসদ সদস্য তাকে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

শুধু আহমদ হোসেন একা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে কিংবা নিজেদের প্রভাবপত্তি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে মাইম্যানকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। আর এর ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল আর বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনকে কতটুকু অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা সহিংস মুক্ত রাখতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মো. আহমদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখনও বিএনপিতে বিভ্রান্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার রাতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বর্জনের সিদ্ধান্ত হলেও নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানো হলেও দলীয় অবস্থানের বিষয়ে এখন বিএনপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও দলের অবস্থান কী হবে-এ বিষয়ে এখনও অস্পষ্টতায় দলটির নেতাকর্মীরা। অর্থাৎ স্বতন্ত্রভাবে দলের কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নেবে তা নিয়ে কেন্দ্রের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা পায়নি তৃণমূল। যে কারণে তারা অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।

সূত্রমতে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইস্যুতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একাংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, যেহেতু এখন কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই, সে কারণে নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে কৌশলে হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তা ছাড়া নেতাকর্মীদের একটি অংশকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা কঠিন হবে।

অন্য আরেকটি অংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে, এই সরকারকে বৈধতা দেওয়া। একই সঙ্গে গত ৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সরকারের এ ফাঁদে কোনো অবস্থায় পা দেওয়া ঠিক হবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কতজন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তদের। ফলে অন্যান্য নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত দলের অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে বিএনপিতে বিভ্রান্ত এখনও স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয় যারা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নাকি দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।



উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্র নিয়ে পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্র প্রশ্নে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি পিটার হাসের কাছে জানতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে?

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এমন তথ্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই যে সত্য তা তো আমরা মেনে নিচ্ছি না। ২৫ ধাপ পিছিয়েছে? আমি রাষ্ট্রদূতকে (মার্কিন) জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনার নিজের দেশ গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে। সেটার জবাব আগে দিন।

এ সময় উপনির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ ও গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

গণতন্ত্র   পিটার হাস   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণবহিষ্কারের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির তৃণমূলে গণবহিষ্কারের আশঙ্কা করছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে দলটিতে। গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। এর মধ্যে ১২০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৪ ও জামায়াতের ১৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, যে সমস্ত উপজেলা গুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণের মাঝে তাদের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় এড়িয়ে রয়েছেন বলে ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতি জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে যদি বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিএনপিতে গণবহিষ্কারের একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে দলের মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না কিংবা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেবে না এরকম সিদ্ধান্ত হলে বিএনপির মধ্যে এই অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এরকম পরিস্থিতি দলের কেউ নির্বাচন করলে সেটাকে উপেক্ষা করার নীতিগত কৌশল গ্রহণ করেছিল বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিভিন্ন সময় এ ধরনের ইঙ্গিত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতি সারাদেশে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এতদিন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন এবং কৌশলগত অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু এখন আবার হঠাৎ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও বর্জন করার ঘোষণা দিলেন। এখন বিএনপি যদি এই অবস্থানে অটল থাকেন তাহলে দলটিতে গণবহিষ্কারের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকই দলে জনপ্রিয় এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাদের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপও রয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনাই তাদের মধ্যে বেশি। আর এ রকম বাস্তবতায় দল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন