ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা থেকে আমাদের প্রত্যাশা কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় এসেই দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের দিকে নজর দেন তিনি। নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছেন। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, দেশে বেকারত্বের হার কমেছে, নাম লিখিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে মহাকাশে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ, শুরু হয়েছে নৌবাহিনীর সাবমেরিন যুগ। দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আরও আছে ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় ও সমুদ্র সীমা বিজয়ের মতো অর্জন। অর্জনগুলোর সংখ্যা এতটাই বেশি যে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে তার পরিমাপ করা যাবে না।

এসব অর্জনের জন্য এবার দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করার উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই উদ্দেশ্যে আগামী ২১ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে দলটি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন, অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন করায় তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা তার শুরুটা এত সহজ ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী হায়েনাদের কারণে তাঁর সে স্বপ্ন সফল হয়নি। ১৫ আগস্টের এক কালরাতে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাবিরোধী শকুনেরা। পরের দুই দশকে স্বাধীনতা বিরোধী ও স্বৈরাচারদের শাসনে বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশ, বিধ্বস্ত হয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা। এই উত্তাল সময়ে সংগঠন হিসেবেও সংকটের মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ।

এই পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বহুধা বিভক্ত আওয়ামী লীগকে রক্ষায় হোটেল ইডেনে দলীয় কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তখনও কিন্তু শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পারেননি। অবশেষে ১৭ মে ১৯৮১ সালে স্বৈরাচারী সরকারের সকল ভ্রুকুটি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে যদি সে সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত না করা হতো, তবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হত কেউ জানে না। দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে শক্তিশালী করে তুলতে এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দলকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রধান দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দুই দশক পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সে সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকার এবং ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন অগণতান্ত্রিক সরকারের সময় এসব উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আবার ২০০৮ সালে এক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জনগণের রায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে জাতির পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণেই কাজ করে চলেছেন তিনি।

বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এমন সময়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৪১ এর ঘোষণা করেছেন, আবার যদি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে আসে তবে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আর অতীতে দেখা গেছে, জাতীয় নির্বাচনে যতবার স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মান্ধ-মৌলবাদীরা এক হয়েছে ততবারই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী এই শক্তিটি আবার শক্তি সঞ্চয় করে মাঠে নেমেছে। আর তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে শক্তিটিকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে সেক্যুলার বাম দলগুলোও। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনটি যে আওয়ামী লীগের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত। তাই এই কঠিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। দেশকে এত কিছু দেওয়ার পর এই সংবর্ধনাটি তাঁর প্রাপ্য ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার অবদানের সঙ্গে মানানসই উপহার একটিই হতে পারে – আগামী নির্বাচনে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে জনসেবার সুযোগ করে দেওয়া। দেশের উন্নয়ন, জনগণের সেবাই শেখ হাসিনার ধ্যান-জ্ঞান। তাই জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়াই হবে শেখ হাসিনার জন্য বড় উপহার। এ লক্ষ্যে সকল বিভেদ ভুলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জনগণের সামনে শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের খতিয়ান তুলে ধরতে হবে। এসব উন্নয়ন সম্পর্কে জানলে অবশ্যই জনগণ আবার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই একতাবদ্ধ থাকার প্রতিজ্ঞাটিই আসলে শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা থেকে দেশের সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কাজ করার দায়িত্ব কিন্তু কেবল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই নয়। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যারা বাংলাদেশকে আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান তাঁদের প্রত্যেকের দায়িত্ব শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। যেদিন শেখ হাসিনা আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে, সেদিনই বলা যাবে, বাংলাদেশের উন্নয়নের সারথী এই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর যোগ্য সংবর্ধনা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন এবং এই লক্ষ্যে তাঁর পেছনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে এমন চেতনার বিস্তারই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা থেকে আমাদের প্রত্যাশা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেঁচে যাচ্ছেন রাজ্জাক, ফেঁসে যাচ্ছেন শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কোন্দল বিভক্তি এবং আধিপত্য ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা ছিল মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া কেউই মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না এবং আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এরকম ব্যবস্থা যদি শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল তাকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শাজাহান খানকে ভর্ৎসনা করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

অন্যদিকে ড. রাজ্জাক তার খালাতো ভাইকে প্রার্থী করলেও এই যাত্রায় তিনি বেঁচে যাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে যে, যদি কোন স্বজন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকেন তবে তার প্রার্থী হতে কোনও অসুবিধা নেই। আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই। কাজেই এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি নীতির আওতায় পড়বেন না। আর এ কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা এবার প্রার্থী হবেন। এমনকি তারা কোন নেতার স্বজন হলেও প্রার্থী হতে অসুবিধা নেই। এই বিবেচনায় ড. রাজ্জাক এ যাত্রায় বেঁচে যাচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলোকে ইতিবাচক ভাবে নেননি। হয়তো তিনি সরাসরি শাস্তির হাত থেকে বাঁচবেন, তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এই সিদ্ধান্তে কতটা উজ্জ্বল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন