নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০১৮
রাজশাহীর নতুন মেয়র হিসেবে আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন। জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়াই বিএনপি নির্বাচনে জিততে পারবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক শিবির নেতা এই পোস্ট লেখেন। এই পোস্টে তিনি দাবি করেন, জামাতের সহযোগিতা ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারবে না আর জামাত যেহেতু রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন দেয়নি তাই বিএনপি প্রার্থীর জয়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই।
ইমনের এই ফেসবুক পোস্টের পর সেখানে সারা দেশের জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মন্তব্য করতে শুরু করেন। বিএনপি নেতাদের প্রতি আক্রমনাত্নক ও ব্যাঙ্গাত্নক মন্তব্যও পড়তে শুরু করে পোস্টে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কটাক্ষ করে মো. আমিন নামে একজন লেখেন, ‘সকাল ১১টায় ভোট বয়কট করবে। ঘোষণা দিবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতা রিজভী।’
রুহুল কবির রিজভী প্রগতিশীল রাজনীতির পথ থেকে দূরে সরে গেলেও তিনি জামাত-শিবির বিরোধী মানুষ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জামাত-শিবিরের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন। বিএনপি নেতা রিজভী ১৯৮৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভিপি নির্বাচিত হন। তখন তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। এমন একজন মানুষকে মহিলা দলের নেতা অভিহিত করে জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীদের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিরোধী তো বটেই, তাদের পুরনো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও হতে পারে।
আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠেয় তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিলেটে মেয়র পদে পরষ্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিএনপি ও জামাতের প্রার্থীরা। রাজশাহীতে মেয়র পদে প্রার্থী না দিলেও বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়নি জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এছাড়া এই সিটিতে কাউন্সিলর পদে জামাতের ১৪ প্রার্থী বিএনপির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়বেন। এই থেকেই প্রমাণিত হয় বিএনপি ও জামায়াতের ইসলামীর মধ্যে বিপুল দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১৯ বছর জোটবদ্ধ থাকলেও এখন আর তারা পরষ্পরের সহযোগী নয়। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিষ্টাচার বহির্ভূত বিভিন্ন মন্তব্য বিরোধের পারদ আরও তুঙ্গে তুলে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অনেক নেতাকর্মী এবং অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ধারণা করছেন বিএনপি ও জামাতের মধ্যে যে অসহযোগিতা ও বৈরী মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে তা সৃষ্টি করেছে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাস্তবে এই অভ্যন্তরীণ বিরোধে আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকাই ছিল না। ক্ষমতার লোভ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বই বিএনপি ও জামাতকে পরষ্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। হালুয়া-রুটির ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বই দীর্ঘদিনের মিত্র এই দুই দলের মধ্যে বিভেদের মূল কারণ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।