নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ০১ অগাস্ট, ২০১৮
এইচএসসি পাশ করার পরই নির্ধারিত হয় একজনের শিক্ষাজীবন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থাকে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। আর এক্ষেত্রে প্রায় সবারই লক্ষ্য থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মেধা ও নিবীড় অধ্যবসায়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্তির মেধাতালিকায় স্থান হয় একজনের। ভর্তির ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ইউনিট ক, খ, গ, ঘ। প্রতিটি ইউনিটে আছে কিছু লোভনীয় বিষয়। ক বিভাগে আছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রো বায়োলজি, ফার্মেসির মতো বিষয়, যা নিয়ে ওই ইউনিটের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। ইউনিটের ভর্তি তালিকায় শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরাই এসব বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পায়। একই ভাবে খ বিভাগের শীর্ষ বিষয় হিসেবে আছে আইন, অর্থনীতি, লোক প্রশাসন। খ-ইউনিটের তালিকায় শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীরাই আইন বিভাগের স্থান পায়। একই ভাগে ঘ ইউনিটের শিক্ষার্থীদেরও পছন্দের বিষয় আইন। তাই এই বিভাগের দুটি ইউনিটের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরই স্থান হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. রেজানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম রাব্বানী। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কমিটি ঘোষণা করেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সাদ্দাম হোসাইনকে। এরা চারজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। মেধাবী বলেই তো তারা একটি ইউনিটের শীর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সম্মেলনের প্রায় আড়াই মাস পর ঘোষণা করা হয়েছে ছাত্রলীগের কমিটি। নতুন কমিটি ঘোষণা করতে এত দীর্ঘসূত্রিতা শুধুমাত্র ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মেধাবী এবং পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগ এসব বিষয় নিশ্চিত করতেই। এই কারণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের জন্য প্রস্তাবে আসা নামগুলো বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।