নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০১৮
গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামিয়ে তাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও তৎপরতা গ্রহণ করেছে ।
বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সরকার তাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। তাই, এই আন্দোলনকে আর নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত হবে না।
তবে এই আন্দোলনের একমাত্র সমাধান মনে করা হচ্ছে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা চাইছে, কিছু একটা অর্জন করে ঘরে ফিরতে। কারণ তাদের নয় দফা দাবির বেশিরভাগই ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন হওয়ার মতো। তাই, অন্তত একটা অর্জন নিয়ে ঘরে ফিরতে চায় শিক্ষার্থীরা।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাস চাপায় যে দু’জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, তাদের অভিভাবকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি নৌ পরিবহন মন্ত্রীর অপসারন। আপাতত নৌ পরিবহন মন্ত্রীকে অপসারন করা হলেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উইন উইন সিচ্যুয়েশন তৈরি হবে, ফলে তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে।
এদিকে সরকারের অনেক সিনিয়র নেতারাও এই আন্দোলনকে প্রশমিত করার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগকেই সঠিক বলে মনে করছে। তবে সরকারের আরেকটি পক্ষ নৌ মন্ত্রীর পদত্যাগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে না। কারণ তাঁরা মনে করছে, এভাবে আন্দোলনের মুখে শাজাহান খান পদত্যাগ করলে ভবিষ্যতে আবার আন্দোলন হলে আরেক মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হতে পারে। তাই তারা মন্ত্রীকে পদে রেখেই এই সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী।
এছাড়া শাজাহান খানের নেতৃত্বে পরিবহন শ্রমিকদের একটি অংশ রয়েছে। তাই, তিনি পদত্যাগ করলে সড়কে আবার নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সরকারের একটি বড় ভোট ব্যাংক ও রয়েছে তাঁর হাতে। তাই নৌ মন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে সরকারও চিন্তা করছে।
সরকারের কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী এ বিষয়ে শাজাহান খানের সাথে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার একমাত্র সমাধান যদি নৌ মন্ত্রীর পদত্যাগেই হয়, সেক্ষেত্রে শাজাহান খানও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সম্মতি দিয়েছেন। তবে এর রাজনৈতিক ফলাফল সরকারের অনুকূলে যাবে না বলে তিনি মনে করছেন।
সামগ্রিকভাবে এই আন্দোলনে শাজাহান খানকেই একমাত্র সমাধান মনে করছে সবাই। তবে সরকার উদ্বিগ্ন এই কারণে, কারণ এই আন্দোলনকে অন্য খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দ্রুত সমাধান করতে চায় সরকার। সমস্যার দ্রুত সমাধানে শাজাহান খানই কি বলির পাঠা হবেন কিনা, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।