নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ০৩ অগাস্ট, ২০১৮
নিরাপদ সড়কের দাবীতে চলমান আন্দোলনে এখনই কঠোর অবস্থানে যেতে চায় না সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন থামাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বরং শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের বুঝিয়ে ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে, সরকার নিশ্চিত হয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্ররোচনা দিচ্ছে একটি মহল। শিবির এবং ছাত্রদলের অন্তত ২হাজার নেতাকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা দ্বিতীয় দিন থেকে আন্দোলনকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকার দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী সব দাবী মেনে নেয়ার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখতে এরাই সবচেয়ে তৎপর। সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী জানিয়েছেন, এরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বেলছে, রোববার থেকে প্রতিটি স্কুলে স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের যৌথ সভা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নিতে আরও কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি স্কুলে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক। এসব বৈঠকে সরকার নিরাপদ সড়ক করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা ব্যাখ্যা করা। সব বিষয় মেনে নেওয়া হয়েছে এই বিষয়টি উপস্থাপন। শিক্ষকদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করানো। প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের এবং নেতা কর্মীদের তার এলাকার স্কুল এবং কলেজগুলোর সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গতকাল বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঐ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার থেকে আন্দোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল, সড়কে কোন শিক্ষার্থীকে অবস্থান নিতে না দেওয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে পুলিশের অবস্থান। ঐ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যেকোনো অবস্থাতেই শনিবার থেকে রাস্তা বন্ধ করে রাখতে দেওয়া হবে না। রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম অবস্থান গ্রহণের প্রস্তাব নাকচ করে দেন। বরং প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যারা ব্যবহার করছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভুল তথ্য দিয়ে বেশিদিন শিক্ষার্থীদের ক্ষেপিয়ে রাখা যাবে না। খুব শীগগিরই তাঁরা বুঝতে পারবে তখন ষড়যন্ত্রকারীরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হবে।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, স্থানীয় পর্যায়ে আজ থেকেই নেতৃবৃন্দ স্কুলের অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।