নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০১৮
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিভিন্ন মহলের ইন্ধনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বিভিন্ন মহল নানা উদ্দেশ্য এই আন্দোলনে মদদ দিচ্ছে। এমনকি আন্দোলনের কিছু কিছু স্থানে নিয়ন্ত্রণও চলে গেছে শিবির এবং ছাত্রদলের হাতে। এই আন্দোলনকে যেকোনো ভাবে জিইয়ে তাকে সরকার পতনের আন্দোলনে দিকে নিয়ে যাওয়ার এক প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। চেষ্টা হচ্ছে সংঘাত বাধানোর। বিএনপি-জামাতই শুধু নয় দেশের সুশীল সমাজের একাংশ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, সারাদেশে এই আন্দোলন উসকে দিতে ছাত্র শিবির এবং জামাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত তৎপর। এই আন্দোলন যাতে চলমান থাকে সেজন্য শিবির অন্তত ১৫০টি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, এসব ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আন্দোলনের ছবি এবং খবর দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের রাস্তায় থাকতে প্রলুব্ধ করছে। ঢাকার প্রতিটি স্পটেই শিবিরের অন্তত ৫ জন করে পর্যবেক্ষক আছে। আছে কয়েকজন ক্যাডার। নেপথ্যে থেকে এরা আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত দুই বছর ধরে ছাত্র শিবির সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেটওয়ার্ক করেছে। কোটা আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যই এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, বুধবার থেকে শিবিরের স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক এই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে। জামাত-শিবিরের মূল লক্ষ্য হলো, যেকোনো একটি ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলে তা এমন এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, যাতে সরকারের পতন হয়।
জামাতের সঙ্গে দূরত্ব হলেও, বিএনপিও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে শিবিরের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া সারাদিনই ক্ষুদে বার্তা পাঠাচ্ছেন। নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রসদ জোগাতে। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য যত টাকা লাগে তা তারেক দেবেন বলেও জানিয়েছেন। আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও গণমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, খসরু ছাত্রদলের নেতাদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত হবার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু খসরু একা নন, দলের প্রায় সব নেতাই অপরিচিত ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সারা ঢাকার আন্দোলন মনিটরিং করছে। বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলছেন, এই আন্দোলনকে তারা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে চান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলন নয়, এটি সামগ্রিক ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা।’ তিনি মনে করেন, ‘এই আন্দোলনই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটাবে।’
বিএনপি জামাতের পাশাপাশি নাগরিক ঐক্য এবং সুশীল সমাজের একটি অংশও সড়কের আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে চাইছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিএনপি-জামাত সারাজীবনই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে। তারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না। একারণেই তারা অন্যের ইস্যুতে ঢুকে আন্দোলন করেত চায়।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ইস্যুকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করলে সরকারের পতন হবে না বরং বিএনপি জামাত গোষ্ঠীই আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এভাবে ষড়যন্ত্র করে কখনো সফল হওয়া যায় না।’
গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলেছে, আন্দোলন উসকে দেওয়ার নেপথ্যের নেতাদের সনাক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।