নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০১৮
ফেসবুকে প্রচারিত গুজবের ওপর ভিত্তি করে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে হামলা চালায় শিক্ষার্থীরা। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা কার্যালয়ের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পাল্টা ধাওয়া দিলে জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এমন সময় দেখা যায়, সংঘর্ষের মধ্যে হেলমেট পরিহিত একদল যুবক ঢুকে যায় এবং শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করে।
বেসরকারি এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ফার্মগেট মোড়ে যাওয়ার সময় আজ রোববারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর আজও আন্দোলনকারীদের ওপর হেলমেট পরা একদল যুবককে হামলা চালায়। শুধু জিগাতলা বা ফার্মগেটই নয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হেলমেট পরা যুবকদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে দেখা গেছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই হেলমেট পরা যুবকরা কারা? এরা সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী তো নয়ই। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। তাই আওয়ামী লীগের কেউ হেলমেট পরে হামলা চালাবে সেটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সকল সচেতন মহল ধারণা করছে, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে তৃতীয় শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সরকারকে দায়ী করা চেষ্টা করছে তাঁরা। এভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চেষ্টা করে দেশ বিরোধী অপশক্তি ফায়দা লুটতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।