নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৭ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০১৮
দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রাজধানীসহ সারাদেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের দেওয়া ৯ দফা দাবি সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। ইতিমধ্যে তা সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। বিএনপির নেতারা সক্রিয় হয়ে এ আন্দোলনে মদদ দিচ্ছে। আন্দোলনকে উসকে দিতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ফোনালাপ বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছে।
আন্দোলনকে উসকে দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নজরদারিতে রাখছে সরকার। নজরদারিতে রাখা এসব নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খানসহ বিএনপির বিভিন্ন সিনিয়র নেতারা রয়েছে। এই নজরদারিতে রাখার কারণ হিসেবে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, যে আন্দোলন চলছে তাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেছে এইসব নেতারা। এরা ছাত্রদল এবং অপরিচিত কর্মী-সমর্থকদের মাঠে নামানোর ব্যবস্থা করছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন আনলাইনে ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়ানোয় মদদ দেওয়া হচ্ছে। একারণে এদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বিএনপির এইসব সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পুরনো মামলা রয়েছে। নজরদারিতে রাখার পাশাপাশি এই পুরনো মামলাগুলো দ্রুত সচল করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।