নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ০৬ অগাস্ট, ২০১৮
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া এক বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে মূল আলোচনা শেষ হওয়ার পরে এক অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রথম দুয়েকদিন স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। তারপর এই আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়ে এবং একে সরকার বিরোধী একটি আন্দোলনের দিকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে এমন আরও ষড়যন্ত্র হবে। একটি মহল নির্বাচন বানচাল করার ও সরকারকে নির্বাচনের আগে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেন। মন্ত্রীদেরকে তিনি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং চোখ কান খোলা রাখারও পরামর্শ দেন।
এই আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল রোববার এবং এর আগের দিন আওয়ামী লীগ অফিসে যারা হামলা চালিয়েছিল তারা কেউই আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নয়। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালানো।
সিনিয়র মন্ত্রীদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্যোশাল মিডিয়ায় যে গুজব ছড়ানো হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলেন। এই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি তাগিদ দেন এবং প্রধানমন্ত্রীও তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিথ্যা গুজব, অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে উত্তেজিত করার একটি চেষ্টা চলছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে। এই প্রচেষ্টা এখনই শেষ হবে না। নির্বাচনের আগে এমন নানা রকম ষড়যন্ত্র হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।