নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম, ০৭ অগাস্ট, ২০১৮
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গত শনিবার প্রটোকল ভেঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য মোহাম্মদপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে তখন আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তত ১২ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। যারা সেখানে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, হাফিজউদ্দিন, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. আসিফ নজরুল, দুজন পত্রিকার সম্পাদক সহ আরও কয়েকজন। অভিযোগ উঠেছে নৈশভোজ শেষে বেরিয়ে আসার সময় কয়েকজন যুবক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু উৎসুক জনতার ভিড়ে সেখানে সামান্য হট্টগোল হয়েছিল।।
এই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটকে ডেকে পাঠান। পররাষ্ট্র সচিবের উপস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে রাজধানী উত্তপ্ত। এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রটোকল ভেঙ্গে কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কেন মোহাম্মদপুরে গিয়েছিলেন?
বার্নিকাট জানান, কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। এই উপলক্ষে একটি ফেয়ারওয়েল ডিনারে অংশ নিতে মোহাম্মদপুরে যান। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বার্নিকাট কোথায় যাবেন না যাবেন সেটি কর্তৃপক্ষের জানা প্রয়োজন। কারণ এই অবস্থায় যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেত তাহলে সেটি সামলানো মুশকিল হয়ে যেত। এসময় মার্শা বার্নিকাট শনিবার রাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আস্বস্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে যে সকল বিধি-বিধান মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো মেনে চলতে বলেন। মার্শা বার্নিকাট তখন বলেন, বাকি যে কয়েকদিন তিনি বাংলাদেশে থাকবেন নির্দেশনা অনুযায়ীই চলবেন।
গত ৩ জুলাই ওই ওয়েবসাইটে মার্কিন নাগরিকরা কোথায় যেতে পারবে বা পারবে না সে সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে গত জুলাইয়ে আর্ল রবার্ট মিলারের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রদূত হিসেবে মিলারের যোগদানের আগে এখন শুধুই মার্কিন সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষা। অনুমোদনের পরপরই বর্তমানে বতসোয়ানায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনরত মিলার বাংলাদেশে নিযুক্ত বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।