নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ০৮ অগাস্ট, ২০১৮
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠকে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর সঙ্গে অন্যতম শরিক দল জামাতসহ শরিক দলগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে চলমান ছাত্র আন্দোলন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসা, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। আর গতকালের ওই বৈঠকেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ হয় জামাতের।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামাতকে মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে একক প্রার্থী নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জামাত অসত্য তথ্য দিয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
বৈঠকে উপস্থিত জামায়াত ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য এ টি এম আবদুল হালিম এর জবাবে বলেন, তারা মিথ্যা বলে নি। তাই তাদের ধমক দিয়ে কথা বলার কিছু নেই। এখানে সবাই সমমানের দল করে। জামাত কারো অধীনস্ত নয়। বিএনপির এই অহমিকার কারণেই তাদের এই অবস্থা।
বিএনপির পক্ষ থেকে গতকালের উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান। ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য এ টি এম আবদুল হালিম, বিজেপির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।