নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০১৮
ঢাকায় তারেক জিয়ার অন্তত দুই হাজার সশস্ত্র ক্যাডার তৎপর। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য এরা তৎপর ছিল। এখনো ঢাকায় বড় ধরনের কোনো নাশকতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য তাঁরা তৎপর। এই সশস্ত্র ক্যাডারদের বাইরে তারেক জিয়ার একটি নিজস্ব টিম সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার কাজ করছে। এই টিমের কয়েকজন দেশে, বাকিরা বিদেশে থেকে তৎপরতা চালাচ্ছে। গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছে যে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে নাটের গুরু হলো তারেক জিয়া। এখন গোয়েন্দারা তারেক জিয়ার নিজস্ব ক্যাডারদের চিহ্নিত করার কাজ করছে। একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এদের বেশ কজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
সরকার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া একটি নিজস্ব বাহিনী গঠন করেছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর হলো, তারেক বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না। বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতাই সরকারের কাছে তথ্য পাচার করে দেন বলেও তারেক জিয়ার ধারণা। তাছাড়া দলীয় লোকজনকে দিয়ে কাজ করালে, তার দায়িত্ব বিএনপির ওপর বর্তাবে, ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে বিএনপির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই তারেক দলের বাইরে একটি নিজস্ব টিম করেছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে। এই টিমে যেমন আছে সশস্ত্র ক্যাডার, তেমনি আছে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ তরুণেরাও। বেসরকারি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে এদের গ্রুপে নেওয়া হয়েছে। তারেক জিয়ার এই টিম অনেকগুলো গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপের সঙ্গে আরেকটি গ্রুপের কোনো যোগসূত্র নেই। এর উদ্দেশ্য হলো, সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী এবং জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তোলা। নাশকতা এবং গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বিব্রত করা। যেকোনো ইস্যু তৈরি হলেই তাঁকে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন তারেক জিয়া পরিকল্পিত। তারেক জিয়ার নিজস্ব টিমের লোকজনই নতুন করে এই আন্দোলনকে সংগঠিত করেছে। আন্দোলন উসকে দেওয়ার জন্য ফেসবুকসহ নানা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করার কাজ করছে তারেক জিয়ার এই নিজস্ব টিম। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কাজ করেছে তারেক জিয়ার এই টিম। এই টিম পরিচালনার জন্য টাকা দিচ্ছেন তারেকের নিজস্ব কিছু ব্যবসায়ী। খুবই লো প্রোফাইলে থাকা কিছু মাঝারি ব্যবসায়ীরা তারেক জিয়ার এই প্রজেক্টের অর্থ যোগানদাতা। যারা আপাত: সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠতা দেখিয়ে চলে। ফলে সহজে কেউ তাদের সন্দেহ করে না। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, এরকম কয়েকজন ব্যবসায়ীকে তাঁরা চিহ্নিত করেছে। শুধু সশস্ত্র ক্যাডার, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ এবং ব্যবসায়ী নয়। তারেক জিয়া সুশীল সমাজের একাংশের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ড. কামাল হোসেনকে তারেক জিয়াই ব্যবহার করছেন, এমন তথ্যও পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান তারেকের পক্ষ থেকে সুশীল সমাজের একাংশকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার কাজ করছে। দেশের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বার্গম্যানের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। গোয়েন্দারা বলছে, তারেকের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত হয়েছে। এখন এই নেটওয়ার্কে জড়িতদের সনাক্ত করা এবং তাদের আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।