নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০১৮
লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী এবং মুক্তমনা ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। আওয়ামী লীগের বিকাশ এবং আন্দোলনে লেখক, শিল্পী এবং বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে শিল্পী সাহিত্যিকদের আলাদা সখ্যতা ছিল। সময় পেলেই তিনি তাঁদের সময় দিবেন। গল্পে আড্ডায় তাঁদের উৎসাহিত করতেন। ৬৯ এর অসহযোগ আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী, সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন আওয়ামী লীগের বড় শক্তি। আবদুল জব্বার থেকে আবদুল গাফফার চৌধুরী সবার সঙ্গে জাতির পিতার ব্যক্তিগত সখ্যতা ছিল। এমনকি বিরুদ্ধ মতের সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদেরও জাতির পিতা ডেকে নিতেন পরম স্নেহে। নির্মল সেনের আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ ‘আমার জবানবন্দি’তে বঙ্গবন্ধুর ঔদার্য এবং ভালোবাসার অনেক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।
জাতির পিতার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আগলে রাখার ক্ষেত্রে এদেশের প্রগতিশীল লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের অনেক বড় অবদান ছিল। নির্মলেন্দু গুণ, রফিক আজাদ, বেলাল চৌধুরীর কবিতায় জাতির পিতার হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শাণিত উচ্চারণ ছিল। প্রতিবাদ ছিল সাহিত্যে, নাটকে। জাতির পিতার পথ ধরেই শেখ হাসিনাও শিল্পী, সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে নৈকট্য অব্যাহত রাখেন। কবি, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিকদের জন্য আলাদা করে সময় রাখতেন শেখ হাসিনা। সময় পেলেই, তাদের নিয়ে বসতেন, কথা বলতেন।
কিন্তু ইদানীং আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি এই মুক্ত বুদ্ধির মানুষদের সঙ্গেই দলটির সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তমনা মানুষজন প্রায়ই হতাশার সুরে বলে, আওয়ামী লীগে এখন শিল্পী, লেখক, সৃষ্টিশীলদের কদর নেই। আওয়ামী লীগে এখন কদর শুধু চাটুকারদের। সম্প্রতি সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি করেছিল বেশ ক’জন বুদ্ধিজীবী। এদের শীর্ষে যার স্বাক্ষর ছিল তিনি হলেন ড. আনিসুজ্জামান। এই প্রবীণ শিক্ষাবিদ কেবল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালনই করেন না এখন প্রগতিবাদী মানুষ হিসেবেও প্রশংসিত। বর্তমান সরকারই তাঁকে ‘জাতীয় অধ্যাপক’ করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষকও। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ এবং সমন্বয় থাকলে তিনি সরকারের জন্য বিব্রতকর এরকম বিবৃতি দিতেন না হয়তো। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। বেগম সুফিয়া কামালের মেয়ে সুলতানা কামালের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক সখ্য রয়েছে। দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যাঁরা হৃদয়ে ধারণ করেছেন সবসময় তাদের একজন সুলতানা কামাল। কিন্তু নানা বিষয়ে সুলতানা কামাল সরকারের কট্টর সমালোচক। এনজিও সেক্টরের খুশী কবিরকে আওয়ামী লীগ সরকারই ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক করেছিল। এখন খুশী কবির নানা বিষয়ে সরকারের সমালোচক। সম্প্রতি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তারের পর, তাঁকে আলম পরিবারের সঙ্গে দেখা গেছে। অধ্যাপক আবুল বারকাত প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। কিন্তু ইদানীং তাঁর সঙ্গেও সরকারের দূরত্ব। অনেক লেখক, শিল্পী বলেন, যারা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থাকতেন, তাদেরই এখন দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ না হলে তাদের খোঁজও কেউ নেয় না। এই অবস্থা আওয়ামী লীগের জন্য মঙ্গলজনক নয়। আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করছে, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা আওয়ামী লীগের বড় শক্তি। দ্রুত উচিত তাদের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।