নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০১৮
বেগম জিয়া প্রশ্ন করলেন ‘শহীদুল আলমকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিলো কোর্ট। অথচ আমি হাসপাতালে যেতে পারছি না। আমার আইনজীবীরা আমার জন্য কিছুই করছে না। ড. কামালকে আমার আইনজীবী করতে বললাম, সেটাও তারা করছে না।’ ক্ষুদ্ধ বেগম জিয়া গতকাল কারাগারে একজন ডেপুটি জেলারের কাছে এই মন্তব্য করেন। কারাসূত্রে এ খবর জানা গেছে।
কারাসূত্রের খবর অনুযায়ী, ইদানিং বেগম জিয়া কারারক্ষী , নার্স , ডাক্তার এবং কারা কর্মকর্তাদের পেলেই বাইরের খবর জানতে চান। জানতে চান আন্দোলনের কি অবস্থা। আন্দোলন থেমে গেছে, এই খবরে বেগম জিয়া বেশ হতাশ হয়ে যান। কিভাবে আন্দোলন থমকে গেল প্রশ্ন করেছেন অনেককে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছেন কারা গ্রেপ্তার হয়েছে, কেউ মারা গেছে কিনা ইত্যাদি। এরমধ্যে একজন কারারক্ষী তাকে জানান, শহীদুল আলমের গ্রেপ্তারের খবর। শহীদুল আলমকে বেগম জিয়া চিনতেন না। প্রথমেই জানতে চান শহীদুল আলম কে। পরে একজন ডেপুটি জেলার তাকে শহীদুল আলম সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। ড. কামাল হোসেন তার জন্য হাইকোর্টে গেছেন, এটা জেনে বেগম জিয়া আদালতে কি হয় সে সম্পর্কে আগ্রহী হন। আজ সকালে পত্রিকা পড়ে জানতে পারেন, হাইকোর্ট শহিদুল আলমকে অবিলম্বে হাসপাতালে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই খবর পরে বেগম জিয়া কিছুটা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সকালে বেগম জিয়াকে দেখতে আসা একজন ডেপুটি জেলারকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, শহিদুল আলমকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়, অথচ আমাকে নেয়া হয় না। আমার কি অপরাধ? কারা কর্মকর্তা বলেন, শহিদুল আলমকে তো আদালত হাসপাতালে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত সবার জন্য মানা বাধ্যতামূলক। আপনার আইনজীবীরাও তো এরকম আদালতের নির্দেশনা চাইতে পারতো। কিন্তু তাঁরা তো এরকম নির্দেশনা আদালতে চায়নি। বেগম জিয়াও এসময় স্বীকার করেন যে, তাঁর আইনজীবীরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। ‘ওরা শুধু পাবলিসিটি করে।’ এসময় একজন কারারক্ষী জানতে চান, ‘তিনি (বেগম জিয়া) কেন ড. কামালকে আইনজীবী হিসেবে নেন না।’ এর জবাবে বেগম জিয়া বলেন, ‘আমি তো তাঁকে নিতেই চাই কিন্তু দলের লোকজনই তো তাকে নেয় না।’
উল্লেখ্য , জিয়া এতিমখানা দূর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম জিয়া কারাগারে। নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে ৬ মাসেরও বেশি সময় থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন একাধিকবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিতে চাইলেও, তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানান। সরকার তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের নিয়ে আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছিল। এছাড়াও বেগম জিয়ার পছন্দের চিকিৎসকদের দিয়ে গঠন করা একটি মেডিকেল বোর্ড কিছুদিন আগে কারাগারে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানালেও বেগম জিয়াকে কারাগারের চিকিৎসকরা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তিনি সুস্থ আছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন