নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৮
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট আজ সোমবার এক চা চক্রের আয়োজন করেন। অ্যামেরিকান ক্লাবের এই চা চক্রটিকে বলা হয়েছে বার্নিকাটের বিদায় উপলক্ষে সুশীলদের সঙ্গে বৈঠক। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই চা-চক্রে দাওয়াতি মেহমান হিসেবে যারা ছিলেন, তারা সবাই ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আমেরিকান ক্লাবে বার্নিকাটের চা-চক্রে ছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন, সিপিডির ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ওয়ান ইলেভেনের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এছাড়াও ছিলেন দেশের বাংলা ও ইংরেজি দুটি দৈনিকের দুজন আলোচিত সম্পাদক।
বার্নিকাটের বিদায়ী চা চক্র বলা হলেও, অতিথির তালিকা দেখে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের এক করার উদ্যোগ নিয়েছেন বার্নিকাট?
অবশ্য, গত কিছুদিন ধরেই মার্শা বার্নিকাটের তৎপরতা দেশের রাজনৈতিক সচেতন মহলে অনেক প্রশ্ন উদ্রেক করেছে। সম্প্রতি সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে একটি চা-চক্রে মার্কিন দূতাবাসের প্রটোকল ভেঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন বার্নিকাট। আজকের চা-চক্রের অতিথিদের অনেকেই সেই চা-চক্রেরও অতিথি ছিলেন। আবার সম্প্রতি বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও নবগঠিত যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গেও দেখা গেছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মকাণ্ড থেকে এটি স্পষ্ট যে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব ও সুশীলদের ঐক্যবদ্ধের প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন বার্নিকাট। ওয়ান ইলেভেনের অবস্থা যদি আরেকবার ফিরে দেখা হয়, তাহলে বোঝা যাবে ওই সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান চেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেনা সহায়তায় এর প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলে। এখন আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি একটি বিষয় হয়তো অনেকেই খেয়াল করেছেন, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুজন ও ড. কামাল হোসেন সবাই অভিন্ন ভাষায় কথা বলছেন। সবাই প্রায় একই ভাষায় সমালোচনা করছেন সরকারের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পন্থা হলো নির্বাচন। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে সুশীলদের নিয়ে কাজ করছে তাঁরা জনবিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচনে মূল্যহীন বলেই স্বীকৃত। এমন সুশীলদের নিয়ে তৃতীয় শক্তির খোয়াব শুধু খোয়াবই। নির্বাচনের মাঠে এই সুশীলদের জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা বা আশঙ্কা নেই। তাই সুশীলদের নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃতীয় শক্তির প্রচেষ্টা বৃথা বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। এই বিষয়টি নিশ্চয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও অজানা নয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের ধারক দাবিদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুশীলদের নিয়ে তৃতীয় শক্তির উত্থানের পরিকল্পনা তবে কি ভিন্ন কোনো পথে?
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্নিকাটের সাম্প্রতিক চা-চক্রসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডসহ উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এই জল্পনা-কল্পনা শেষ পর্যন্ত কোনো পথে বাস্তবে মোড় নেবে তা কয়েক মাসের মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।