ইনসাইড পলিটিক্স

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: যারা সেদিন প্রতিবাদ করেছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু একজন জনদরদী ও দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যাকে নেতা হিসেবে পাওয়াকে যে কোনো জাতিই পরম সৌভাগ্য হিসেবে বিবেচনা করবে। কিন্তু বাঙালি যেমন বীরের জাতি, তেমনই বেইমানের জাতি। এই কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নায়ককে বরণ করতে হয় স্বদেশীদের হাতে মৃত্যু। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে সেনবাহিনীর একদল সদস্য। এই অপরাধ আরও ডালপালা বিস্তার করে যখন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহচর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে হাত মেলায়। এসব ঘটনা পরিক্রমার দিকে লক্ষ্য রাখলে মনে হতে পারে ’৭৫ এর সেই অন্ধকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে দুঃখিত হওয়ার মতো, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার মতো একটি মানুষও বাংলাদেশে ছিলেন না। এই বিষয়টি আরও জোরালো হয় বঙ্গবন্ধু হতাকাণ্ডের পর দীর্ঘ দুই দশক ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা যখন এমন তথ্য সজ্ঞানে, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে প্রচার করতে থাকে। স্বাধীনতা বিরোধীদের জাতির পিতার মৃত্যুতে কারও কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি এমন তথ্য প্রচারের মূল উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সময় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের প্রচণ্ড অজনপ্রিয় ছিলেন এমন কথা প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু কালের স্রোতে এসব অপপ্রচার ধুলোয় মিলিয়ে গেছে। প্রমাণিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ কেউ করেনি, এমন দাবি সর্বৈব মিথ্যা। সেই গুমোট, অন্ধকার সময়েও সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশপ্রেমিক, মুজিব প্রেমী মানুষ ঠিকই এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন অনেক মানুষ যাদেরকে জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে অথবা বরণ করে নিতে হয়েছে মৃত্যুকে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সেই আশাহীন রাতেই প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন বিগ্রেডিয়ার জামিল উদ্দিন আহমেদ, কিন্তু সফল হতে পারেননি। প্রিয় রাষ্ট্রনায়ককে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর মতোই নিহত হতে হয় ব্রিগেডিয়ার জামিলকে। ব্রিগেডিয়ার জামিল আগে থেকেই বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত ছিলেন। এই কারণেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাত তিনটা কিংবা সাড়ে তিনটার দিকে ব্রিগেডিয়ার জামিলকে ফোন করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়েই ধানমণ্ডি ৩২ এর বাড়ির দিকে ছুটে যান তিনি। যাওয়ার আগে সেনাবাহিনীর প্রধান সফিউল্লাহ, পুলিশ সুপার ও রক্ষীবাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমেদকেও ফোন করেন।। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাড়ির পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তিনি। পথিমধ্যেই গাড়িতে থাকা অবস্থায় পাঁচ-ছয়জন অস্ত্রধারী সেনা সদস্য গুলি করে হত্যা করেন ব্রিগেডিয়ার জামিলকে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সময়ে আরেক বীরের নাম বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী। জাতির পিতার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ১৭ হাজার মুজিব ভক্তকে সঙ্গে নিয়ে রংপুর চিলমারী পর্যন্ত সাতটি ফ্রন্টে বিভক্ত হয়ে কাদের সিদ্দিকী দীর্ঘ ২২ মাস যাবৎ প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যান। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে নিহত হন ১০৪ জন মুজিব প্রেমী যোদ্ধা। নিহতদের মধে যেমন ছিলেন চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দ, গাইবান্ধার মুন্না, দুলাল দে বিপ্লব, বগুড়ার সারিয়াকান্দির আবদুল খালেক খসরুর মতো সমতলের মানুষেরা, তেমনি ছিলেন ফনেস সাংমা, অ্যালসিন মারাক, সুধীন মারাকরাদের মতো আদিবাসীরা। জাতির পিতার জন্য যাদের আত্মত্যাগ আমাদের বলে দেয়, বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে জাতির পিতার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ছড়িয়ে আছে।

প্রায় দুই বছর ব্যাপী চলমান সেই প্রতিরোধ যুদ্ধে আহত যোদ্ধার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। এছাড়াও শুধু পিতা মুজিবকে ভালোবাসেন বলে সেনাবাহিনীর অকথ্য নির্যাতন ও জেল-জুলুমের স্বীকার হন অগণিত যোদ্ধা ।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় মৃতদের তালিকা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় ১৯৭৬ সালের ১৮ আগস্ট সেনা অভিযান চালিয়ে মুক্তাগাছার প্রতিবাদী ৫ মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী, নিখিল দত্ত, সুবোধ ধর, দিপাল দাস, মফিজ উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। সেই অভিযানে বেঁচে যান বিশ্বজিৎ নন্দী নামের এক কিশোর যোদ্ধা। কিন্তু গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করা হয় তাঁকে। এরপরই শুরু হয় বিশ্বজিৎ এর দুর্বিষহ জীবন। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার অপরাধে ১৯৭৭ সালের ১৮ মে সামরিক আদালতে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয় ১৯ বছরের তরুণ বিশ্বজিৎকে। ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে ৭ বছর কাটাতে হয় বিশ্বজিৎকে। তবে বিশ্বজিৎ সৌভাগ্যবান। বিশ্বজিৎ এর মুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ প্রভাবশালী বিশ্বনেতারা বিশ্বজিৎকে সমর্থন করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা সরকার বিশ্বজিতের ফাঁসি মওকুফ করে তাঁকে যাবজ্জীবন দেয়। পরে ১৯৮৯ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতার ভূমিকা বিতর্কিত হলেও সব নেতাই কিন্তু চুপ করে থাকেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যার কারণে তাঁকে কারাভোগ করতে হয়। এছাড়া আওয়ামী নেতা আ. লতিফ সিদ্দিকী, বজলুর রহমান, মানু মজুমদারও কারাভোগ করেন।

শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নয়, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে দীর্ঘ ১০ বছর কারাভোগ করেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কান্দা গ্রামের আজগর আলী, যিনি পরিচয়ে সাধারণ কিন্তু কর্মের দ্বারা অসাধারণ হয়ে উঠেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দেশের ৮-১০ হাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে আজগর আলীও প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে শেরপুরের নকলা উপজেলার ধামনা গ্রামে প্রতিরোধ যোদ্ধার একটি দল গ্রামের একটি বাড়িতে রাতে আশ্রয় নিলে গুপ্তচর মারফত খবর পেয়ে আজগর আলীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর কারাবাসই হয় তাঁর নিয়তি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক জান্তা যাকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুগামী মনে করেছে তাঁর ওপরই ধরপাকড় চালিয়েছে। এই কারণে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আবদুর রাজ্জাক ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত কারাবন্দি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও আছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানকে নিয়েও অস্বস্তি ছিল সামরিক সরকারের। এই কারণেই তাঁদের কারাবন্দী করা হয়, পরবর্তীতে হত্যা করা হয় অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে।

জাতির পিতার মৃত্যুতে তাঁর সন্তানদের যেমন প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা ছিল বাংলাদেশে তেমনটি দেখা যায়নি একথা সত্যি। কিন্তু এই বিষয়ে সমালোচনা করার আগে মোশতাক, জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামরিক পরিস্থিতির কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেই দিনগুলোতে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নাম উচ্চারণ করা নিষিদ্ধ ছিল। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতাহীন এক কারাগারে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে অসংখ্যবার, রাজপথ দাপিয়ে বেড়িয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও ’৭৫ এর ১৮ই অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, মধুর ক্যান্টিনসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পোস্টার ও দেয়াল লিখনে ভরিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানায় ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷ এরপর ২০শে অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তৎকালীন ত্রাসের রাজত্বে এসব প্রতিবাদ-প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছিল পিতার প্রতি সন্তানের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কারণেই।

এমনকি ১৯৭৬ সালের ২৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনস্থ অফিসের কর্মকর্তা মুহিতুল ইসলাম লালবাগ থানায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা রুজু করতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু মামলা নেয়নি ডিউটি অফিসার, বরং অফিসারের হাতে চড় খেয়ে বিদায় নিতে হয় মুহিতুল ইসলামকে। এভাবেই অপমান, নির্যাতন, হত্যা ও জেল-জুলুমের মধ্যে চলতে থাকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ।

মৃত্যুর ভয় মাথায় নিয়ে যে মুজিব প্রেমীরা ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর মুজিব হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করেছিল, ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করার মাধ্যমে তাঁদের যন্ত্রণার কিছুটা হলেও উপশম করা সম্ভব হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর যে খুনিরা এখনো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে তাঁদের দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করা সম্ভব না হলে বাঙালির পিতা হত্যার গ্লানি কখনোই দূর হবে না।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দায়িত্ব নিবেন ব্যারিস্টার খোকন!

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ চার আইনজীবীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপিপন্থি এ আইনজীবী নেতা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চিঠির বিষয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সংগঠনের দেওয়া চিঠিতে পুনর্নির্বাচনের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। তবে  আমি নির্বাচিত, দায়িত্ব নেওয়া বা না নেওয়ার কী আছে? কে কী বললো, সেটার দেখার বিষয় নয়। আমার পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নাই। সে সময় তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে জয়ী হতে পারতাম।’

এ সময় নিজের দলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন তিনি। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের ফোরামের একজন নেতার ভূমিকা রহস্যজনক। আমরা তার সম্পর্কে অনেক গুজব শুনে যাচ্ছি। খুব ইমপর্টেন্ট, শক্তিশালী নেতা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার আঁতাত ছিল কিনা- এ ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে খুব গুজব আছে। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি এ ব্যাপারে কি করা যায়।’ তবে এ সময় সেই নেতা কে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি ব্যারিস্টার খোকন।

উল্লেখ্য, গতকাল ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। আইনজীবী সমাজ ও দেশের আপামর জনগণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারটি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী বিএনপির অন্য তিনজন হলেন- সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্য ৯ জন হলেন- সহসভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী, সহ-সম্পাদক পদে মো. হুমায়ুন কবির ও হুমায়ুন কবির (পল্লব), সদস্য পদে রাশেদুল হক খোকন, মো. রায়হান রনী, মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও খালেদ মোশাররফ (রিপন)।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি   ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায়ও পড়ছে সংসদ নির্বাচনের ছায়া

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকা বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবিসহ ১৪টি নিবন্ধিত দল উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না। দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানে তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আর সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে থাকা বেশিরভাগ দলই থাকছে উপজেলায়। এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তা ব্যবহার করছে না। তাদের পথেই হাঁটছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টি।

তবে দলীয় প্রতীকেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১১টি নিবন্ধিত দল। আর দলীয়ভাবে প্রার্থী দেওয়া হবে কি না—তপশিল ঘোষণার পরও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি পাঁচটি রাজনৈতিক দল। অবশ্য আওয়ামী লীগ প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

দেশে মোট উপজেলা ৪৯৫টি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর আগামী ২৩ মে দ্বিতীয়, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন শেষ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কার স্বাক্ষরে প্রার্থী নির্ধারিত হবে, তা বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালায় ব্যাপক সংশোধন আনা হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় ও স্বতন্ত্র দুই ধরনের সুযোগই রাখা হয়েছে। তবে এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছাড় দিয়ে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। নির্বাচনে যাতে অধিকসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিতে পারেন, সেজন্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ২৫০ ভোটারের সমর্থন সূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা সংযুক্তির বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী পোস্টার, নির্বাচনী প্রচারণা এবং প্রার্থীদের জামানতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বড় ধরনের সংশোধন আনা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে বিএনপিসহ ১০টি দল। দলীয় প্রতীকে অংশ নেবে ১১টি দল। প্রতীক ছাড়া অংশ নেওয়ার পক্ষে দুটি। এখনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পাঁচটি রাজনৈতিক দল। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথেই নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। তারা ইতোমধ্যে উপজেলাসহ স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীও ঠিক করতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যে ছয়টি নিবন্ধিত। এসব দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে আটটি নিবন্ধিত দল। একটি ছাড়া সবগুলোই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক। এ ছাড়া সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

জাপার দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক খান জানিয়েছেন, দলীয় প্রতীকে তারা স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে দুই সিটিতেও তারা প্রার্থী দিয়েছেন। রংপুর সদর উপজেলা পরিষদে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিবন্ধিত দলগুলোর বেশিরভাগই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আবার সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে কোনো কোনো দল।

এর আগে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে উপজেলার ভোটে অংশ নিয়েছিল। যদিও তখন পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়ার বিধান চালু হয়নি। পরে ২০১৯ সালে উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও বিএনপি সেখানে প্রার্থী দেয়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রেখেছেন তারা।

তবে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক তৃণমূল বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘দল হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার একটা মনোভাব আছে। যারা অংশ নিতে চায় তাদের আমরা উৎসাহিত করছি। তবে দলীয়ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মহাসচিব দেশের বাইরে রয়েছেন। ঈদের পর দেশে ফিরলে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আরেক নতুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।

এ তথ্য জানিয়ে দলটির মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা নির্বাচনও বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো হলে, সেখানে অংশ নেওয়ার কোনো অর্থ হয় না। তবে আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিগগির এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে দলীয় প্রতীকে, নাকি প্রতীক ছাড়া যাব, তখন সে সিদ্ধান্তও হবে।’

কল্যাণ পার্টিও নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে দলটির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘কল্যাণ পার্টি নির্বাচনমুখী দল। শিগগির উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গেলে দলীয় হাতঘড়ি প্রতীকে ভোট করবেন তাদের প্রার্থীরা।’

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (কাঁঠাল প্রতীক) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয় বলেন, ‘তারা দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’

তবে চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ টাকা জামানত নির্ধারণ সঠিক হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আগে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা। তাই জামানতের টাকা আগের অবস্থায় নেওয়ার জন্য শিগগির রিট করা হবে।’

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাচনে যাবেন না। তবে দলের কোনো প্রার্থী চাইলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, কোনো বাধা থাকবে না।’

দলীয় ‘একতারা’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। অন্যদিকে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ কংগ্রেস। ডাব প্রতীকের দলটির চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাব।’

তবে ১৪ দলের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া জানিয়েছেন, তিনি এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি।

দলীয় প্রতীক ছাড়া অংশ নেবে গণতন্ত্রী পার্টি। দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়াই হওয়া উচিত।’

ওয়ার্কার্স পার্টি উপজেলা নির্বাচন করবে দলীয় হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে। একই অবস্থানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও (জাসদ)।

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবিসহ পাঁচ দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘পরিবেশ না থাকায় আমরা উপজেলা নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম। দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না।’

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে যেতে চায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। একই পথে হাঁটছে তরীকত ফেডারেশন। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘আমাদের কেউ নির্বাচনে আগ্রহী হলে সুযোগ দেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন অবস্থানের বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি সংসদ নির্বাচনে যেভাবে দলগুলোর অবস্থান ছিল উপজেলা নির্বাচনেও সে রকমই আছে। অর্থাৎ যারা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা এবারের নির্বাচনেও শরিক হচ্ছে। তবে নির্দলীয় নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে হয়তো প্রার্থী কিছুটা বাড়তে পারে। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে অনেকেই স্বতন্ত্র হয়ে অংশ নিতে পারেন।’


নির্বাচন কমিশন   ইসি   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির চোখে যারা সন্দেহভাজন

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি এখন দলে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছে এমন অনেক নেতাকেই বিশ্বাস করে না। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কাছে এ রকম তথ্য উপাত্ত আছে যে, তারা আসলে সরকারের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করেছে এবং বিএনপির সঙ্গে থেকে আন্দোলনকে দুর্বল করেছে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই সমস্ত নেতাদের কেউ কেউ বিএনপির দলের আবার কেউ কেউ দলের বাইরে। 

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিএনপির চোখে যারা সন্দেহভাজন এরকম কয়েকজন নেতার নাম উচ্চারণ করেছেন। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। গোপন কোন কথা তাদের সাথে আছে আদান প্রদান না করার জন্য এবং দলের পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন। গতকালের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সমস্ত নেতাদের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। 

বিএনপির চোখে যারা সন্দেহভাজন নেতা তাদের মধ্যে রয়েছেন;

মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনকে বিএনপি সন্দেহজনক নেতা হিসেবে মনে করে। তার গতিবিধি, আচার-আচরণ এবং কথাবার্তা সবকিছুই সন্দেহজনক। তিনি বারবার মত পাল্টাচ্ছেন এবং একেক বার একেক রকম কথা বলছেন। তার সম্বন্ধে ধারণা হল যে, সরকারের কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই হয়তো মেজর হাফিজকে আবার মাঠে নামানো হয়েছে এবং সেই কারণে তিনি এখন বড় বড় বক্তৃতা দিচ্ছেন, লম্বা লম্বা কথা বলছেন। 

কর্নেল অলি আহমেদ: কর্নেল অলি আহমেদ বিএনপির তালিকায় আরেকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। এলডিপির এই নেতা মাঝেমাঝেই বিএনপির ব্যাপারে জ্ঞান দেন এবং বিএনপিকে বিভিন্ন রকম উপদেশ এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কর্নেল অলি আহমেদের সঙ্গেও গোপনে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ আছে এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সরকার বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন বলে তারেক জিয়া দলের নেতাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন। 

মাহমুদুর রহমান মান্না: একদা মাহমুদুর রহমান মান্না তারেক জিয়ার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে তিনি বিএনপিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বিএনপির সন্দেহভাজনদের তালিকার মধ্যে পড়েছেন। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন যে, মান্না এখন বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে মিশলেও গোপনে গোপনে সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে এবং সরকারের অনেক গোপন এজেন্ডা মাহমুদুর রহমান বাস্তবায়ন করছেন বলেও তাদের কাছে তথ্য আছে। মাহমুদুর রহমান মান্নার কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে বিএনপির মধ্যেই এখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।

রেজা কিবরিয়া: একদা বিএনপির ঘনিষ্ঠ নেতা রেজা কিবরিয়াকেও এখন বিএনপি সন্দেহের চোখে দেখছে। তবে রেজা কিবরিয়াকে আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে নয়, বরং অযোগ্য এবং রাজনীতিতে অপরিপক্ক একজন ব্যক্তি হিসেবে মনে করে বিএনপি। এ ধরনের বাচাল এবং অতি কথকদের এখন বিএনপি আর আশেপাশে ভেড়ানোর প্রয়োজন নেই বলে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন। 

আ স ম আব্দুর রব: বিএনপির এক সময় জোটের ঘনিষ্ঠ আ স ম আব্দুর রবকেও এখন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সন্দেহের চোখে দেখছেন। আ স ম আব্দুর রবরাও সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে তাদের কাছে খবর আছে। আর এ সমস্ত সন্দেহভাজন লোকদেরকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।


বিএনপি   মেজর হাফিজ উদ্দিন   কর্নেল অলি আহমেদ   মাহমুদুর রহমান মান্না  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অবশেষে ১৪ দলকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির ভারত বিরোধী কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলকে আবার নতুন করে সাজানো এবং সক্রিয় করার জন্য দলটির সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আগামী ঈদের পরপরই ১৪ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাবে এবং দলটির ভিতর যে মান অভিমান, ক্ষোভ, হতাশা ইত্যাদি দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কাজ শুরু করা হবে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই ১৪ দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই সময় ১৪ দলের মিত্ররা আসন ভাগাভাগি নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট হন। ১৪ দলকে শেষ পর্যন্ত অল্প কিছু আসন দেওয়া হয় এবং অসন্তুষ্ট হয়েই ১৪ দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তবে ১৪ দলের শরিকদেরকে নৌকা প্রতীকে অল্প কিছু আসন দেওয়া হলেও তাতে তারা যতটা অসন্তুষ্ট বা হতাশ হয়েছেন তার চেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। ওই নির্বাচনে ১৪ দলের হেভিওয়েট নেতা হাসানুল হক ইনু, ফজলে হোসেন বাদশাসহ অনেকেই পরাজিত হন। এরপর ১৪ দলের পক্ষ থেকে বার বার আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আওয়ামী লীগ তাদেরকে এড়িয়ে গেছেন বলেই একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এমনকি নারী সংসদ সদস্য মনোনয়নের সময়েও ১৪ দলকে আমলে নেওয়া হয়নি। ১৪ দলের কোন সদস্য ছাড়াই আওয়ামী লীগ আটচল্লিশটি আসনে নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিয়েছে। যারা সবাই তাদের দলীয় প্রার্থী। এরকম বাস্তবতার ১৪ দল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।

অন্যদিকে নির্বাচনের পর হতাশগ্রস্ত বিএনপি হতাশা কাটতে নানা রকম উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে তারা হঠাৎ করেই ভারত বিরোধী মনোভাব চাঙ্গা করেছে। মালদ্বীপের ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচির মতো ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রকাশ্যে ভারতীয় চাদর পুড়িয়ে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, এটি জনগণের কাছে এখন সবচেয়ে সমাদৃত দাবি।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ভারত বিরোধিতা, সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্র মৌলবাদের উস্কানি সৃষ্টি হয়েছে। ভারত বিরোধীরা আড়ালে পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিবিদরা সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। এরকম বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়টি সামনে এনেছে বলে জানা গেছে। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ১৪ দল গঠন করে। এটি একটি আদর্শিক জোট। এখন যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, নতুন করে ভারত বিরোধিতা শুরু হয়েছে তখন আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে আবার ১৪ দলকে সক্রিয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেছেন যে, ১৪ দলের মধ্যে মান অভিমান থাকবে, নানা রকম ভুল বোঝাবুঝি থাকবে। কিন্তু আদর্শের প্রশ্নে আমরা এক। এখন যখন ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে নতুন করে অরাজকতার সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আর এ কারণেই ১৪ দল আবার সক্রিয় হচ্ছে এবং ঈদের পরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী এই জোটকে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দেখা যাবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।

১৪ দল   আওয়ামী লীগ   ভারতীয় পণ্য বর্জন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার বিরোধী হয়েও দল বাঁচাতে পারবেন জিএম কাদের?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জিএম কাদের এখন ঘরে বাইরে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তার দলের ভরাডুবি হয়েছে। গত নির্বাচনের চেয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য কম আসন পেয়েছেন। দলের ভিতরে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় পার্টি একটা বড় ধরণের ভাঙনের মুখে পড়েছে। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি বড় অংশ আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করছে। এত কিছুর পর দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা জিএম কাদের এখন একটা বড় সমস্যা। কিন্তু তারপরও জিএম কাদের তাদের সরকার বিরোধিতাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছেন। 

জি এম কাদের মনে করছেন যে, সরকারের বিরোধিতা করলে দলের জনপ্রিয়তা হয়তো বাড়তে পারে। আর তাতে দল টিকে থাকতে পারে। এ কারণে তিনি যেমন গোপনে সুশীল সমাজের সাথে এখনও সম্পর্ক রক্ষা করে চলছেন, তেমনি বিএনপির সাথে ঐক্যের বিষয়টি উড়িয়ে দেননি। আজ তিনি বিতর্কিত দৈনিক এবং সুশীল সমাজের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক ‘প্রথম আলো’তে নিজের নামে একটি কলাম লিখেছেন। ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসলে কেমন হল’ সে নিয়ে লিখিত কলমে জিএম কাদের লিখেছেন আশঙ্কাজনক উপলব্ধি। ফলে ৪২ শতাংশ ভোট পড়ার দাবি বাস্তবসম্মত মনে করি। বরং ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হয়ে ভোট দিয়েছেন। কিছু কিছু এলাকায় ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণা। 

স্বভাবতই প্রশ্ন আসে কী ভাবে ৪২ শতাংশ ভোট গণনায় এলো। এটা সম্ভব, যদি বেশ কিছু ব্যালট পেপারে অবৈধভাবে সিল মেরে প্রার্থীদের পক্ষে দেখানো হয় অথবা ব্যালট গণনা বাদেই নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেদের পছন্দমতো ফলাফল তৈরি ও ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে ৭ জানুয়ারি। এই নির্বাচনের বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সেই প্রতিবেদনে কেউ ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নি। ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একমাত্র টিআইবি। তার তথাকথিত গবেষণা জরিপে। আর এতদিন পর জিএম কাদের এই ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করলেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে জিএম কাদেরের এই বক্তব্য স্ববিরোধী। কারণ জিএম কাদের নিজে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে অভিষিক্ত হচ্ছে। নির্বাচন যদি কারচুপি পূর্ণ হয়, ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে একজন সৎ দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার সংসদে বসার কথা না। ওই নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করা উচিত। এই নির্বাচন নিয়ে তার কথা বলা উচিত। কিন্তু তিনি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বসছেন। মন্ত্রী পদ মর্যাদার সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। আবার নির্বাচনে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। এটি কি তার স্ববিরোধিতার নয়? 

বিভিন্ন মহল মনে করেন যে, এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগতে থাকা জিএম কাদের মনে করছেন, যদি তিনি বিএনপির সঙ্গে জোট করেন এবং তীব্র সরকার বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তাহলে জনগণ তার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো একটি রাজনৈতিক দলের যদি সংগঠন না থাকে, রাজনৈতিক নেতা যদি জনগণের কাছে বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন না হন তাহলে সে সংগঠন গড়ে উঠতে পারে না। জিএম কাদের একদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন অন্যদিকে নির্বাচনের সমালোচনা করছেন। একদিকে সংসদে যাচ্ছেন অন্যদিকে ভোট কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। একদিকে তিনি সরকারি সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন অন্যদিকে তিনি সরকারকে গালি দিচ্ছেন। এই স্ব বিরোধিতার কারণেই জাতীয় পার্টি আজ অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে এবং এই জাতীয় পার্টি তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

সরকার বিরোধী   জিএম কাদের   জাতীয় পার্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন