নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০১৮
কারান্তরীণ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন কারা চিকিৎসকরা। আজ বুধবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তিনি মোটামুটি সুস্থ ও ভালো আছেন। মাঝে মাঝে তাঁর শরীরে সামান্য ব্যথা অনুভূত হয়। চিকিৎসকরা বেগম জিয়াকে শুধু প্যারাসিটামল ওষুধ দেন। প্যারাসিটামল ছাড়া আপাতত তাঁর আর কোনো ওষুধ দরকার নেই বলেই জানান চিকিৎসকরা। এসময় একজন কারা কর্মকর্তা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান, আজ তো আপনার জন্মদিন, জন্মদিন উপলক্ষে আপনার জন্য বিশেষ কিছুর আয়োজন করবো? উত্তরে খালেদা জিয়া স্পষ্ট ভাবে বলেন, ‘আজ আমার জন্মদিন না। আমার জন্মদিন সেপ্টেম্বর মাসে।’
১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করে আসছেন। একাধিক সূত্রে বেগম জিয়ার বেশ কয়েকটি জন্মদিনের উল্লেখ পাওয়া যায়। পরীক্ষার মার্ক-শিট অনুসারে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। বিয়ের কাবিননামা অনুসারে তাঁর জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৯ আগস্ট। পাসপোর্ট অনুসারে তাঁর জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট। কোথাও ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার জন্মদিন বলা হয়নি। এরপরও বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই শোক দিবসে জন্মদিন পালন করেছেন। জাতীয় শোক দিবসের মহিমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও কটাক্ষ করতে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে তিনি এই নকল জন্মদিন পালন করেন।
অতিসম্প্রতি বেগম জিয়ার পৈশাচিক নকল জন্মদিন আয়োজনে ভাটা পড়েছে। গত দুই বছর ধরে রাজনৈতিক কারণেই বেগম জিয়া শোক দিবসে নকল জন্মদিন পালন করছেন না। আর এবার তো কারাগারে তাই ঘটনা করে জন্মদিন পালনের কোনো উপায়ই নেই।
১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার নকল জন্মদিন পালন নিয়ে অনেক বিতর্ক ও সমালোচনা দেখা গেছে। তবে বর্তমানে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া তাঁর প্রকৃত জন্মদিনের কথা বলে, সত্য কথা স্বীকার করে নিলেন।
কথায় আছে, বিপদে পড়লে মানুষ সত্য কথা বলে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ খালেদা জিয়া। গত ছয়মাস ধরে কারাগারে থেকে ঘোর বিপদে তাঁর মুখ খুলেছে। আর এবার ওই খোলা মুখ থেকে কিছু সত্যও পাওয়া যাচ্ছে, যা কিছুটা বিরলই বলে মনে করেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে স্বীকারোক্তির পর দেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যে বঙ্গবন্ধুর জন্যই খালেদা জিয়ার সংসার টিকেছিল, তাঁর মৃত্যু দিবসকেই হেয় করতে দুই দশকের বেশি সময় ধরে কেউ পৈশাচিক আনন্দ কেউ করতে পারে। যদি এমন কাজ কেউ করে, তাহলে সে কেমন মানুষ?
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।