নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১৬ অগাস্ট, ২০১৮
বাংলাদেশে তৃতীয় শক্তির উত্থান নিয়ে বহুদিন ধরেই কাজ করছে সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের দূতাবাস। আর এদের উদ্যোগের ফলেই গত বছর হঠাৎ করেই আবির্ভাব ঘটে যুক্তফ্রন্ট নামক আনকোরা এক জোটের। ওই সময় বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ও নবগঠিত যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়কের বাসায় পদধূলি দেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন। যুক্তফ্রন্ট নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার সঙ্গে ঐক্য পোষণ করেন গণফোরাম প্রেসিডেন্ট। পরে একটি যৌথ বিবৃতিতেও স্বাক্ষর করলেন দুই নেতা। যুক্তফ্রন্ট নিয়ে আশায় বুক বাঁধে তৃতীয় শক্তির স্বপ্নসারথীরা। কিন্তু এরপর শুধুই ভাঙন আর বিভেদের ইতিহাস।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বি. চৌধুরীর বাড়িতে গিয়েছিলেন ড. কামাল। এরপর প্রায় অর্ধ বছর কেটে গেছে। অনেক জোয়ার এসেছে, ভাটাও হয়েছে। পানি গড়িয়েছে বহুদূর। আর সদাপরিবর্তনশীল ড. কামালের মনেও এসেছে নানা পরিবর্তন। গত কয়েকমাস ধরেই ড. কামাল বলে আসছেন তিনি ও তাঁর গণফোরাম যুক্তফ্রন্টে নেই।
সম্প্রতি ড. কামাল হোসেন দৃঢ়কণ্ঠেই বলেছেন, কোনো ঐক্যে গিয়ে কারও নেতৃত্ব মেনে নেওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নতুন এক ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ড. কামাল। এই প্রক্রিয়ার জন্য ২২ সেপ্টেম্বর মহাসমাবেশ ডেকেছেন গণফোরাম প্রেসিডেন্ট।
আর ড. কামাল হোসেনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বি. চৌধুরী। বিএনপির সাবেক এই নেতার মতে, ড. কামাল তাঁর বাসায় এসেছিল এবং বলেছিল আপনার (বি. চৌধুরী) নেতৃত্বেই জোট করব। সেভাবেই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ড. কামাল। এখন তিনি কীভাবে নিজের কথা ঘুরিয়ে ফেলেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, বি. চৌধুরী যেমন কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মেনে নিতে পারছেন না। তেমনি ড. কামালও পারছেন না বি. চৌধুরীর নেতৃত্ব মেনে নিতে।
অবশ্য ড. কামাল হোসেনের মতে, তৃতীয় শক্তির উত্থানের জন্য সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে সমর্থন প্রয়োজন তা অর্জনে বি. চৌধুরীর যথেষ্ট ঘাটতি আছে। তৃতীয় শক্তির নেতৃত্বে বি. চৌধুরীকে মেনে নেবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ড. কামালের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ পক্ষপাতের কথা স্বীকার করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন বি. চৌধুরী। দলটি থেকে বহিষ্কৃত হলেও সেখানে এখনো অনেক ভক্ত আছে তাঁর। তৃতীয় শক্তির নেতৃত্বে বি. চৌধুরী থাকলে বিএনপির বড় একটি অংশ সেখানে যোগ দিতে পারে। আর অংশবিশেষ বিএনপির এমন যোগদানে কার্যকর রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে পারে তৃতীয় শক্তি। নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারবে এমন জোট। কিন্তু ড. কামাল নেতৃত্বে থাকলে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন পেলেও কার্যকর কোনো জোট হবে না তৃতীয় শক্তি। ভোটের রাজনীতিতে কোনো মূল্যই থাকবে না এমন তৃতীয় শক্তির।
ড. কামালের ঐক্য জোটের ঘোষণায় ২২ সেপ্টেম্বর মহা সমাবেশ ডাকার পর অবশ্য বসে নেই বি. চৌধুরীও। গতকাল বুধবার রাতেই বি. চৌধুরী নড়েচড়ে বসেছেন। ঐক্য প্রক্রিয়ার জন্য সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই সারাদেশে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তফ্রন্ট।
জানা গেছে, গতকাল রাতেই বি. চৌধুরীর বাসায় যুক্তফ্রন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের কেউ ছিল না। উপস্থিত ছিল শুধু বি. চৌধুরীর নাগরিক ঐক্য, জাসদের আব্দুর রবসহ যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য নেতারা। ওই বৈঠক থেকেই বি. চৌধুরী ফোন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। বি. চৌধুরী বিএনপি মাহসচিবকে বলেন, তারা সবসময়ই ঐক্যের পক্ষ্যে। তবে ঐক্য নিয়ে অনৈক্য তারা কোনোভাবেই চান না। ড. কামালের সঙ্গে ঐক্য নিয়ে কোনো সমাধানে আসা যায় কিনা এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপি মহাসচিবকে অনুরোধ করেন বি. চৌধুরী। একই সঙ্গে বি. চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তফ্রন্টের কেউ কামাল হোসেনের সঙ্গে যেতে রাজি না।
যুক্তফ্রন্ট গঠন নিয়ে গভীর আশায় বুক বেঁধেছিল তৃতীয় শক্তি প্রত্যাশীরা। কিন্তু কামাল হোসেন ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোষণার পর ওই আশায় হঠাতই হতাশার আবির্ভাব। তৃতীয় শক্তি নিয়ে ঐক্যে এই বিভক্তি নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কে নেতা হবে তা নিয়েই গভীর সংকটে তৃতীয় শক্তি। এই নেতৃত্ব নিয়ে সংকট যে শিগগিরিই কাটছে না তা বলাই বাহুল্য। সেক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ল তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন