নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ অগাস্ট, ২০১৮
চলতি বছরের শেষদিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে ধরা হচ্ছে তরুণ ভোটারদের। ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে থাকা ভোটাররাই নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হয়। আর বরাবরই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ধারণা ছিল তরুণ ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে আছে তারাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণ, গণজাগরণ মঞ্চ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এসব কারণে একসময় তরুণ ভোটারদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। তখন তরুণদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল বিএনপির প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা। কিন্তু হঠাৎ করেই এই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও আওয়ামী লীগের নিজস্ব গবেষণায় দেখা গেছে, সম্প্রতি নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও এর আগের কোটা আন্দোলনের পর তরুণদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন এসেছে। তরুণ ভোটাররা আওয়ামী লীগের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তরুণরা বেশ দ্রুত আস্থা হারাচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আর তরুণদের এমন পরিবর্তনের মূল কারণ হিসেবে দেখা গেছে, ফেসবুক, টুইটারসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছে তরুণরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজব ও অপপ্রচার সহজেই বিশ্বাস করে নিচ্ছে তরুণ মন। আর এসব বিশ্বাস থেকেই তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।
কোটা আন্দোলনের সময় দেখা গেছে, এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের উসকে দিতে নেওয়া হয়েছে নানা মিথ্যার আশ্রয়। গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হত্যা ও গ্রেপ্তারের, যার কিছুই প্রকৃতপক্ষে ঘটেনি। আবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে শুরুটা শিক্ষার্থীদের হাতে থাকলেও পরে তা রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিবর্তনের চেষ্টা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। এরই অংশ হিসেবে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয় নিয়ে মিথ্যা ছাড়ানো হয় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আক্রমণ হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। এরই ফলশ্রুতিতে সিটি কলেজ, ধানমণ্ডি এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এভাবে বার বার তরুণদের বিভ্রান্ত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, মিথ্যা, অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
গুজব ও অপপ্রচার যেন তরুণদের বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে গুজব প্রতিহত করতে ও সত্য ঘটনা তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা। তরুণদের কাছে সত্য ও প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে চায় আওয়ামী লীগ। আর এ লক্ষ্যেই একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ টিমের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ। এরা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে নিয়মিত পোস্ট দেবে। গুজবের বিপরীতে তরুণদের প্রকৃত ঘটনা জানাবে বিশেষ টিম। তরুণদের সব ধরনের বিভ্রান্তি দূর করতে বিশেষ টিম সদাপ্রস্তুত থাকবে। মিথ্যা, গুজব, অপপ্রচার হলে সঙ্গে সঙ্গেই এর সত্যতা আসলে কতটুকু, প্রকৃতপক্ষেই সেটি ঘটেছে কিনা, এই বিষয়টি তরুণদের কাছে তুলে ধরবে আওয়ামী লীগের বিশেষ টিম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও গুজবের ভিড়ে তরুণরা সহজেই বিভ্রান্ত হয়। তাই এই সময়ে সত্য ও প্রকৃত ঘটনা জানানোর উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। এই উদ্যোগ কার্যকরের ফলে কিশোর তরুণদের মধ্যেকার বিভ্রান্তি যেমন দূর হবে, তেমনি আওয়ামী লীগে ফিরবে তরুণ ভোটাররা। আর বন্ধ হবে মিথ্যা, গুজব, অপপ্রচার চালিয়ে দেশ অস্থিতিশীল করার সব ষড়যন্ত্র।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।