নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে আওয়ামী লীগ। অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও সংসদের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এই রাজনৈতিক সংলাপে অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকা হবে না। তবে, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। কিন্তু, আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বিএনপিকে হয়তো সংলাপে ডেকে চমক দেখাবেন।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে পারেন। এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হবে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতামতের ভিত্তিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি। ২০১৪’র নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রী সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন। ঐ সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ঐ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এবারও নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের প্রস্তুতি চলছে। এবার সংলাপে দুটি ভাগ হবে। প্রথম ভাগে জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু), জাসদ (আম্বিয়া), ওয়ার্কার্স পার্টি সহ সংসদে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারে এই দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে মতামত চাইবেন। এই বাইরেও যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত, কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, তাদের ডাকা হবে। এদের কাছে, নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, সংসদে আসন নেই এমন রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় কাউকে নেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপিকে সংলাপে ডাকা হবে কিনা, তা নির্ভর করছে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক পরিণতির উপর। বেগম জিয়া যদি নির্বাচনের অযোগ্য থাকেন এবং কারাগারে থাকেন, সেক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে অবশ্যই সংলাপ হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া ৫ বছরের দণ্ডভোগ করছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। এই আপিলের শুনানি এখন হাইকোর্টে চলছে। তফসিলের আগে যদি হাইকোর্ট বেগম জিয়ার দণ্ড বহাল রাখে তাহলে তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। তখন হয়তো বিএনপিতেও নতুন মেরুকরণ হবে। সেই মেরুকরণ প্রক্রিয়ার উপর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতার অনেকখানি নির্ভর করবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।