নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৮
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে দেবে বেগম জিয়ার দুই পুত্রবধূ। ‘আপনার একটি ভোট, বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে।’ এই আকুতি নিয়ে জোবায়দা এবং শর্মিলা বিএনপির নির্বাচনী প্রচারে নামবে। আগামী অক্টোবর থেকেই নির্বাচনী মাঠে নামছে বিএনপি। ঢাকায় এসে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে এরকম পরিকল্পনার কথাই জানালেন প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
গত বৃহস্পতিবার শর্মিলা বাংলাদেশে এসেছেন। শনিবার তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেন। শনিবার এবং রোববার সারাদিনই শর্মিলা সিঁথি বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসব সাক্ষাতে বেগম জিয়ার পুত্রবধূ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন। অনেক নেতাই সিঁথিকে প্রশ্ন করেছেন, বেগম জিয়া জেলে থাকলে এবং তারেক জিয়াকে বিদেশে রেখে কীভাবে নির্বাচন করা সম্ভব। উত্তরে সিঁথি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন প্রচারণায় থাকবো। নির্বাচন প্রচারণা নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শর্মিলা দেশে আসবেন। তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবায়দারও দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির ম্যান্ডেট এর জন্য জনগণের কাছে ভোট চাইবেন। তবে এরা দুজন নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলে কোন্দল এবং সম্ভাব্য ভাঙন ঠেকাতেই সিঁথিকে তারেক ঢাকায় পাঠিয়েছে।
নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপিতে কোন্দল ক্রমশ বাড়ছে। বিএনপির তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাই বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচন নয় এরকম মনোভাব প্রকাশ করছে। কিন্তু তারেক জিয়া মনে করছেন, এবার নির্বাচন না করলে বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়বে। এই বক্তব্য তিনি দুমাস আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ নেতাই মহাসচিবের বক্তব্য বিশ্বাস করেননি। এমনকি নির্বাচনে যাওয়া সম্পর্কিত বেগম জিয়ার বার্তা মহাসচিব দলের সিনিয়র নেতাদের পড়ে শোনালে তাঁরাও সেটি বিশ্বাস করেননি। এনিয়ে দলে কোন্দল দানা বাঁধছিল। এই প্রেক্ষিতেই শর্মিলা রহমানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য একটি সূত্র বলছে, তারেক জিয়ার কাছে খবর গেছে যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি অংশ অধ্যাপক বি. চৌধুরীর সঙ্গে যেতে পারে। গত কিছুদিন ধরে বি.চৌধুরীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের একাধিক সাক্ষাতের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি মহাসচিব যুক্তফ্রন্টে বিএনপিকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারেক জিয়া মোটেও বি. চৌধুরীর সঙ্গে জোটে আগ্রহী নন। বি.চৌধুরীকে তিনি বিশ্বাসও করেন না। তাই বিএনপি মহাসচিব যেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ফাঁদে পা না দেন, সে কারণেও সিঁথিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ পর্যায়ে সৈয়দ শর্মিলা রহমান সিঁথি ঢাকায় ঈদ করবেন। ঈদের পর লন্ডনে ফেরত গিয়ে তিনি আবার অক্টোবরের শেষ নাগাদ দেশে ফিরবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।