নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৮
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বই লিখছেন। এই বই লেখার জন্য তাঁকে অর্থ যোগান দিচ্ছেন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর ছোট ভাই মামুন। আর এই বইয়ের প্রকাশক ঠিক করে দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। খবর দায়িত্বশীল সূত্রের।
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দেশের ২১ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি। প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি এবং নৈতিক স্থলনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ তাঁর সঙ্গে বেঞ্চে বসতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর বিচারপতি সিনহা প্রথমে ছুটি নেন, পরে ১১ নভেম্বর ২০১৭ তে সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগ পত্র পাঠান। রাষ্ট্রপতি তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন। এরপর কিছুদিন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করলেও এখন স্থায়ী ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেখানে নিয়মিত ভাবেই বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে তিনি একটি গ্রন্থ লিখছেন। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গ্রন্থের আড়ালে আসলে তিনি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নামতে চাইছেন। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সময়ে সরকার তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে চাপ দিয়েছিল বলে গ্রন্থে সিনহা দাবি করছেন। এছাড়াও কীভাবে তাঁকে ‘পদত্যাগে বাধ্য করা হলো’ সে প্রসঙ্গেও বইয়ে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেছেন বলে জানা গেছে। তবে, এই সব লেখাই ফরমায়েশি লেখা। বইটি ঠিক সংবিধান সংশোধনী রায়ের মতো। যে রায়, বিচারপতি সিনহার নামে প্রচারিত হলেও রায়টি লিখেছেন অন্য কেউ। একটি সূত্র বলছে, এই বই লেখার জন্য ড. কামাল হোসেন লন্ডন থেকে একজন লেখককে ভাড়া করেছেন। এই লেখককে সিনহা কিছু ঘটনা বলেছেন আর বাকিটা ড. কামাল হোসেনরা যেভাবে চাইছেন সেভাবে লেখা হচ্ছে।
এই বই লেখার উদ্দেশ্য তিনটি। প্রথমত, এই বইয়ের মাধ্যমে এটা প্রমাণের চেষ্টা করা যে বর্তমান সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করে। দ্বিতীয়ত, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়গুলো স্বত:স্ফূর্ত অ্যাটর্নি প্রয়োগের মাধ্যমে হয়নি, হয়েছে, চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে- এটা প্রমাণের চেষ্টা। তৃতীয়ত এটা দেখানো যে, প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি (সিনহা) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। সূত্রমতে, খুব দ্রুত যেন বইটি প্রকাশ করা হয়, সেজন্য মীর কাশেম আলীর ভাই বিপুল অর্থ খরচ করছেন। আর ড. কামাল নিউইয়র্ক এবং লন্ডনে দুটি নামী প্রকাশনা সংস্থা ঠিক করে দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে সরকারকে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলাই বইটির প্রধান উদ্দেশ্য। এই বইটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্টের কাজে ব্যবহার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।