নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২২ অগাস্ট, ২০১৮
কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারেই আছেন বেগম জিয়া। আজ ঈদের দিন দুপুরে তাঁর ছয় আত্মীয় কারাগারে যান। এই স্বজনদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম, ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী, বেগম জিয়ার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
কারা সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটা ৪০ এ বেগম জিয়ার স্বজনরা কারাগারে প্রবেশ করেন। ৫টা ১০ মিনিটে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টা স্বজনরা বেগম জিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা রান্না করা খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার জন্য। খালেদা জিয়া পছন্দের সব খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। রান্না করা খাবারের মধ্যে ছিল কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগীর রোস্ট, কাবাব।
কিন্তু কারাগার থেকে বেরিয়ে সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন বেগম জিয়া সকাল থেকে কোনো কিছু খাননি। তাঁদের খাবারও বেগম জিয়াকে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন সেলিমা ইসলাম।
সেলিমা ইসলামের বক্তব্য পুরোপুরি অসত্য বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে বেগম জিয়া পায়েস ও সেমাই খেয়েছেন। রুটিও খেয়েছেন বেগম জিয়া। দুপুরে তিনি অপেক্ষা করেছিলেন স্বজনরা তাঁর জন্য খাবার নিয়ে আসবে। স্বজনরা খাবার নিয়ে আসলে তা প্রথমে কারা কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দীদের নিরাপত্তার কারণেই খাবার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। কারা সূত্র জানিয়েছে, মেডিকেল পরীক্ষার পর খাবার বেগম জিয়াকে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে বেগম জিয়া স্বজনদের দেওয়া খাবার খেয়েছেন।
আজ বেলা ১২ টার দিকে বিএনপির কয়েকজন নেতাও কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবে দেখা করার অনুমতি না থাকায় বেগম জিয়ার সাক্ষাৎ পাননি তাঁরা। কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী ঈদ ও অন্য উৎসবে কারাবন্দীদের সঙ্গে স্বজনরা দেখার সুযোগ পান। এই নিয়মেই আজ বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁর ছয় স্বজন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।