নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ অগাস্ট, ২০১৮
বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালিত হয় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ অনুযায়ী। এই আদেশের কিছু কিছু ধারা সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেই বিবেচনা থেকে আগামী ২৬ আগস্ট রোববার আরপিও সংশোধনের জন্য বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ১(ঘ) ধারার বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ‘নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অনূ্যন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে’ তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। কিন্তু ৭২ এর আরপিওতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজদের রাখা না রাখার ক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। এই সুষ্পষ্ট কোনো বক্তব্য না থাকার কারণে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে একজন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বা একাধিক দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি আসতে পারেন। আর নেতৃত্বে আসার পর সেই দল যদি নির্বাচনে জয়লাভ করে তাহলে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এই বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, সংসদ সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংবিধানের সঙ্গে আরপিওকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা দরকার। এজন্য আরপিওতে সংশোধন আনা হচ্ছে, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে হলে তাঁকে সংবিধান অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিত হতে হবে। এজন্য কোনো রাজনৈতিক দলে দণ্ডিত দুর্নীতিবাজ, যার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং যিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য, তিনি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না। যদি তিন কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকেন তবে সেই নেতৃত্ব বাতিল বলে বিবেচিত হবে।
খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বিএনপি তাঁদের স্থায়ী কমিটির কোনো বৈঠক ছাড়াই দলের গঠনতন্ত্রের ৭ এর সব উপধারা বিলুপ্ত করে। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় ‘কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা` শিরোনামে বলা ছিল, `নিন্মোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’ তারা হলেন (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮ এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি, (খ) দেউলিয়া, (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি, (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি। এই উপধারা গুলো বিলুপ্ত করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতিবাজদের জন্য বিএনপি দরজা উন্মুক্ত করে।
দেখা যাচ্ছে, খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া এখনো বিএনপির নেতৃত্বে। এখন আরপিও সংশোধন করে, আদালত কর্তৃক দণ্ডিত কোনো ব্যক্তিকে যদি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য বিবেচনা করা হয়, তাহলে তিনি একই ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব প্রদানের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আগামী ২৬ তারিখের আরপিও নিয়ে বৈঠকে এমন সংশোধনীই আনা হচ্ছে।
এছাড়া নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ইভিএম (ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন) এর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আগামী ২৬ তারিখের বৈঠকে ইভিএমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণের ব্যাপারে একটি নাটকীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।