নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ অগাস্ট, ২০১৮
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রায়ের আগে বাংলাদেশে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। অন্তত তিনটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এরকম আশঙ্কা করেছে। তারা বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের দেশের নাগরিকদের সীমিত চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে, আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশে বড় ধরনের ‘গোলযোগ’ এবং ‘রাজনৈতিক সহিংসতা’র আশঙ্কা করেছে। এজন্য গোয়েন্দা সংস্থাটি বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ দাবি করেছে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে, তারেক জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এফবিআইয়ের মতে, বিএনপির তৃণমূলে তারেক জিয়ার শক্ত ভিত্তি রয়েছে। এই রায়ে তারেক জিয়া দণ্ডিত হলে কর্মীরা সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলেও গোয়েন্দা সংস্থাটি মনে করছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির মতে, বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং স্থাপনার উপর আক্রমণের চেষ্টা করতে পারে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করা হয়েছে। অবশ্য ‘র’ শুধু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নয়, আরও কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এরকম আশঙ্কা করেছে। আগামী নির্বাচন, বেগম জিয়ার মুক্তি ইত্যাদি ইস্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতি সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা গোয়েন্দা সংস্থাটির। তাঁদের মতে, রাজনৈতিক আন্দোলনের আড়ালে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলেও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা। তাদের মতে, বাংলাদেশে অশান্ত এবং সহিংস পরিস্থিতি তৈরির জন্য সরাসরি কাজ করছে : পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আইএসআইয়ের ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে বড় ধরনের নাশকতার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে ‘র’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বার বার পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর জড়িত থাকার প্রসঙ্গটি এসেছে। যদিও পাকিস্তান দূতাবাস বা আইএসআই তার প্রতিবাদ করেনি। আইএসআই এর সঙ্গে তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে, তারেক আইএসআই দ্বারা পরিচালিত। আগামী নির্বাচনের আগে তারেক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আইএসআই এর সহযোগিতা নেবে বলে ধারণা করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ‘স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড’ও লন্ডনে কিছু ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগসূত্র দেখছে। গত কিছুদিন ধরে লন্ডনে, বিভিন্ন মৌলবাদী এবং জঙ্গি সংগঠন বৈঠক করছে। এই সব বৈঠকে তারেক জিয়া পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলেও তাদের কাছে খবর এসেছে। তারেক যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ সরকার তারেককে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার ইতিবাচক সাড়া দেয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন