নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ২৬ অগাস্ট, ২০১৮
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে ঐক্যের ব্যাপারে না করলেন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল শনিবার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি মহাসচিব। প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে সংগঠন, নির্বাচন এবং আন্দোলন নিয়ে কথাবার্তা হয়। যদিও মির্জা ফখরুল জেলগেটে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছিলেন যে, ‘সংগঠন বা রাজনীতি নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি।’ কিন্তু সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে খালেদার সঙ্গে আলাপের বিস্তারিত তুলে ধরেন। মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন, বেগম জিয়া বি. চৌধুরীর সঙ্গে জোটে যেতে বারণ করেছেন। বেগম জিয়া এটাও বলেছেন, ‘বি. চৌধুরীকে বিশ্বাস করা যায়না। তাঁর অন্য কোনো মতলব থাকতে পারে।’ বি. চৌধুরীর সঙ্গে ঐক্যের বদলে বেগম জিয়া সংগঠন এবং ২০ দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেন। বৈঠকের একটি সূত্র বলছে, নিজেদের মামলার চেয়ে বেগম জিয়া ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার রায় নিয়ে বেশি চিন্তিত। কারাগারে সাক্ষাতে বেগম জিয়া, ঐ মামলার আইনি দিক নিয়ে কথা বলার নির্দেশ দেন। এজন্য রাতেই বিএনপি মহাসচিব দলের শীর্ষ আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেগম জিয়া মির্জা ফখরুলকে ২১ আগস্টের রায় প্রসঙ্গে আওয়ামাী লীগ নেতাদের বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
একটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। দলের মহাসচিব রাতে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হবার পর এনিয়ে বিএনপি মহাসচিব বেগম জিয়ার সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো সাক্ষাৎ করলেন। এর মধ্যে একটি সাক্ষাতে তাঁর সঙ্গে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যও ছিলেন। দুবার তিনি একান্তে বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।