নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ২৬ অগাস্ট, ২০১৮
বেগম জিয়ার সঙ্গে একা সাক্ষাৎ করে দলের সিনিয়র নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন বিএনপি মহাসচিব। গতরাতে মির্জা ফখরুল দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছেন। শনিবার বিকেলে মির্জা ফখরুলকে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। বেগম জিয়া প্রায় দেড় ঘণ্টা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কথা বলেন। রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতা এবং আইনজীবীদের ডাকেন বিএনপি মহাসচিব। সরকার শুধু তাঁকে একা কেন সাক্ষাৎ করতে দেয় এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
ঈদের আগে বিএনপির পাঁচজন সিনিয়র নেতা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও ঐ তালিকায় ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও ড. মঈন খান। ঈদের দিন তাঁরা জেলগেট পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
গতরাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি চাইলেই সরকার অনুমতি দেয়, আমাদের দেয় না। ব্যাপারটা কী?’ তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আপনার লেনদেন কী, খাতির কেন?’ মির্জা ফখরুল এসব প্রশ্নে একটু বিব্রত হন। তিনি বলেন, মহাসচিব হিসেবে আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু দলের অন্য সিনিয়র নেতারা এটাকে ‘রহস্যময়’ বলে বর্ণনা করেন।
একজন নেতা বেগম জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি তো সরকারকে সার্টিফিকেট দিলেন। সরকার এতদিন ধরে বলছিল ম্যাডামের অসুস্থতা গুরুতর কিছু নয়। আমরা বলছিলাম, তাঁকে অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে হবে। আপনি যা বললেন, তা তো সরকারের পক্ষেই গেল।’ এছাড়াও ২০ দলকে অকার্যকর রাখার জন্যও বিএনপি মহাসচিব সমালোচিত হন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।