নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ২৬ অগাস্ট, ২০১৮
জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামনের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগকে রাজপথে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন শামীম ওসমান। আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি বলেছেন, এই সময়টাতে বিএনপি অনেক ধরনের ঝামেলা করার চেষ্টা করবে, বিভিন্ন রকম গোলযোগ করবে তাই নানা রকম কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে রাজপথে থাকতে হবে।
সম্প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই প্রস্তাব দেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, আওয়ামী লীগকে তাই রাজপথ দখলে রাখতে হবে। এই উদ্দেশ্যে দেশজুড়ে পাড়ায়-মহল্লায় বিভিন্ন কর্মসূচি, সভা-সমাবেশসহ প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে বড় সমাবেশ করার প্রস্তাব রাখেন শামীম ওসমান। এতে করে দলীয় কর্মীরাও চাঙ্গা হবে, রাজপথও দখলে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমানে বিএনপি কথায় কথায় রাজপথ দখল করার হুমকি দিচ্ছে। শামীম ওসমানের বক্তব্য অনুযায়ী, সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির কথায় কথায় রাজপথ দখলের হুমকি আরও বাড়বে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনকে প্রস্তুত করে রাজপথে যেন নেতাকর্মীরা থাকে এরকম একটি নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চেয়েছেন শামীম ওসমান।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শামীম ওসমানের প্রস্তাবটিকে ভালো বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই বিষয়ে পরবর্তী দলীয় ফোরামে আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।