নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ অগাস্ট, ২০১৮
গত কিছুদিন ধরেই লন্ডনে বাংলাদেশ বিরোধী নানা তৎপরতা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নানা বৈঠক করছেন বলে ঢাকায় খবর আসছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামালার মামলার রায়ের আগে এসব তৎপরতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভূমিকা এক্ষেত্রে কি, তা নিয়েও রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর লন্ডনে একাধিক ঘটনা ঘটে। গত ফেব্রুয়ারিতে কিছু দুর্বৃত্ত লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা করে। প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন সফরের সময় তারেক জিয়ার নেতৃত্বে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। এসময় ৭১ টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী এবং একজন উপমন্ত্রী আক্রান্ত হন। বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত চায়। এ বছরই প্রথম প্রকাশ্যে আসে যে তারেক জিয়া বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্রিটিশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। দূতাবাসের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন না করায় সেখানকার ডেপুটি হাইকমিশনারকে প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তারপরও লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম হতাশাব্যাঞ্জক। বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন অপতৎপরতা বন্ধে বাংলাদেশ দূতাবাস কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফেব্রুয়ারিতে দূতাবাসে হামলার ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নেবার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে তাগাদা দেওয়ার কোনো পদক্ষেপও লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী দণ্ডিত ও পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ঘোষণা করলেও, বাংলাদেশ দূতাবাস তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উপরন্তু সম্প্রতি লন্ডনে প্রেস মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার এমন একজন সংবাদকর্মীকে যিনি বিএনপিপন্থী হিসেবেই পরিচিত।
সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে বিভিন্ন বাংলা চ্যানেলগুলো যেন দখল করে ফেলেছে বিএনপি-জামাত পন্থীরা। তাঁরা প্রকাশ্যই সরকারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা এবং অপপ্রচার করছে। অথচ এসব বন্ধে দূতাবাসের কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। জানা গেছে, লন্ডন এখন বিএনপির মূল ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা লন্ডনে যাচ্ছেন। প্রকাশ্যে এবং গোপনে বৈঠক করছে। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা লন্ডনে প্রকাশ্যে সরকার উৎখাতের ঘোষণা দিচ্ছে। কিন্তু এসব ব্যাপারে দূতাবাস নীরব। দূতাবাসের প্রধান নাজমুল কাওনাইন এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে কোনোরকম অবহিতকরণ নোট দেননি। দূতাবাসের অন্তত দু’জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিএনপি এবং যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের তদন্ত পর্যন্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, লন্ডন থেকেই সারা বিশ্বের বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ মাসের শুরুতে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় বেশির ভাগ গুজবের উৎস-ভূমি ছিল লন্ডন। তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ নির্দেশে এই গুজব ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু লন্ডন বাংলাদেশ দূতাবাস এসব গুজব ও মিথ্যাচার বন্ধে যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে কোনো আবেদন পর্যন্ত করেনি। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাঙালিরা মনে করেন, অবিলম্বে লন্ডন বাংলাদেশে দূতাবাসের ব্যাপক পরিবর্তন দরকার। তা না হলে সামনে লন্ডনই হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।