নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ৩০ অগাস্ট, ২০১৮
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সহ্যই করতে পারছেন ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করা নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহী ড. কামালের জামাতেও অরুচি নেই। কিন্তু যুক্তফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা নাগরিক ঐক্যের মান্নাকে নিয়েই তাঁর যত ক্ষোভ।
গত মঙ্গলবার রাতে বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠিত হয় ঐক্য প্রক্রিয়ার এক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন নিজে এবং যুক্তফ্রন্টের তিন দল বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকেই। বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত এমন কেউ বৈঠকে না থাকলেও উপস্থিত ছিলেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ওই বেঠকেই মাহমুদুর রহমান মান্নাকে একচোট দেখে নেন ড. কামাল। এমন প্রশ্নও করেন, আপনার (মান্না) দলে লোক কজন? একই সঙ্গে মান্নার দলের কমিটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ড. কামাল। বলেন, সেখানে যেসব লোক আছে তাদের ঐক্যে রাখলে তো আরও অনেককেই রাখতে হয়।
জানা গেছে, ড. কামালের বাড়ির বৈঠক আনুষ্ঠানিক ভাবে পৌনে ১০ টায় শেষ হলেও মান্না বেরিয়ে যান এর আগেই। ড. কামালের বাড়ির বৈঠকের ঘটনায় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, ড. কামাল মোটেই পছন্দ করছেন না মাহমুদুর রহমান মান্নাকে।
নাগরিক ঐক্য ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য নিয়ে আগ্রহীদের অন্যতম ছিলেন মান্না। জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তির আশায় বুক বেঁধেছিলেন। বিএনপির সঙ্গে জোটে প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল মান্নার। এর আগে বিএনপি নেতাকে আন্দোলনের সবক দিতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হয়ে কারাগারে ছিলেন তিনি। এত কিছুর পর যুক্তফ্রন্ট গঠনে বিএনপির সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক। কিন্তু বিধিবাম। শুরু থেকেই বিএনপির সঙ্গে জোট করা নিয়ে নানারকম সমস্যা। মাহি বি. চৌধুরীসহ জোটের নানা জনের নানা কথায় বিএনপির সঙ্গে জোট হবে কিনা তা নিয়েই শুরু হয়েছে সংকট। এর মধ্যে আবার ড. কামালের অসহ্যের তালিকায়। বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে ড. কামালের বাড়ির বৈঠকে শুরুতেই হোঁচট খেলেন তিনি। সব মিলে আশাহত নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।