নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দিয়ে একটি সাংবিধানিক ক্যু এর চেষ্টা হয়েছিল গত বছর। আর এবার, ঠিক নির্বাচনের আগে, নির্বাচন কমিশন দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে একটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন কমিশনের একটি অংশ, দেশের সুশীল সমাজ এবং ড. কামাল হোসেন এই নীল নকশার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ ছিল গত বৃহস্পতিবার কমিশনে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক। ঐ বিতর্কে নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট দেন। তিনি ইভিএম সংক্রান্ত বৈঠকও বর্জন করেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই বিতর্ককে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গণ প্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনীর যে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সূত্র মতে, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য গতকাল আরপিও সংশোধন করেছে। এটি এখন মন্ত্রী সভায় যাবে, মন্ত্রী সভায় অনুমোদিত হলে তা আগামি ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে উত্থাপিত হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র বলছে, আগামি সোমবার ৩ সেপ্টেম্বর কমিশনের ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রীসভায় উত্তাপিত হতে পারে। যদিও এবারের জাতীয় সংসদ অধিবেশন স্বল্পতম সময়ের জন্যে হবে, তবুও এই সংশোধনী, আসন্ন শরৎকালীন অধিবেশনে উত্তাপিত হতে পারে। ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েট ল চেম্বার নিশ্চিত করেছে যে, তাদের ল’ ফার্ম ইতিমধ্যেই এই আরপিও সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঝুলিয়ে দিতে চায়। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে হলে, তা অবশ্যই ২০১৯ সালের জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে তাঁরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এই নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে কমিশন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদ বহাল রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে, তা ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ এর মধ্যে করতে হবে। ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ সালে এই সংসদ আপনা আপনি ভেঙে যাবে। ড. কামাল হোসেন এবং তাঁর অনুসারীরা এই সুযোগটি নিতে চায়। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন বিএনপিসহ বিরোধি দলের অন্যতম দাবি। এরকম একটি পরিস্থিতি হলে, একটি সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে সময় নির্দলীয় সরকারের বিষয়টিও সামনে চলে আসবে। একটি সূত্র বলছে, এই নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই মাহাবুব তালুকদারকে নিয়ে নোট অব ডিসেন্ট দেয়ানো হয়েছে। আইনী লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হবে বলে আইনজীবীদের ধারণা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।