নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ’রাজনৈতিক হারিকিরি’ (জাপানের সামরিক বাহিনীতে প্রচলিত একটি আত্মহত্যার নাম) বলে উল্লেখ করেছিলেন ড. কামাল সিদ্দিকী। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব ছিলেন তিনি। ঘটনার পর দিন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে ৪০ মিনিট বৈঠক করেন তিনি বেগম জিয়ার সঙ্গে। ঐ বৈঠকে বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ এবং রাজনৈতিক সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালুও উপস্থিত ছিলেন। বেগম জিয়া ড. কামাল সিদ্দিকীর কাছে সহায়তা চান। বেগম জিয়া বলেছিলেন, ‘এই ঘটনায় কোন ভাবেই যেন তাঁর পুত্র তারেক জিয়ার নাম না আসে।’ এজন্য তিনি দলের এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেও রাজি ছিলেন। ড. কামাল সিদ্দিকী সহ বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে কথা বলে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রথম বৈঠকে বেগম জিয়া ঘটনাটি তারেককে মিসগাইড করে করানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এ বিষয়ে একটি সমাধান প্রস্তুত করার জন্য দুই দিন সময় চান। এই সময়ের মধ্যে ড. কামাল সিদ্দিকী বিএনপির চারজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলেন। এরা হলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, বিএনপির সিনিয়র নেতা এবং তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। প্রতিটি বৈঠকেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফালু। ২৫ আগস্ট ড. কামাল সিদ্দিকী বেগম জিয়াকে ৪ করণীয় সম্পর্কে একটি নোট দেন। তাতে, এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে কয়েকজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পদত্যাগের সুপারিশ ছিল। ড. কামাল সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘এই ব্যবস্থাগুলো নিলে বিএনপি এবং তারেক দুজনকেই ঘটনার দায় থেকে সরানো যাবে।’ বেগম জিয়াও প্রথমে এই প্রস্তাবে খুশি হন। বেগম জিয়া ড. সিদ্দিকীকে পথ বের করার জন্য ধন্যবাদও দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া তাঁর মূখ্য সচিবকে বলেন, ‘কাল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।’ পরদিন সকালে বেগম জিয়া তাঁর মূখ্য সচিবকে তাঁর কক্ষে ডেকে নেন। সেসময় তারেক জিয়াও উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু বেগম জিয়া পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, সেহেতু ড. সিদ্দিকী তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছ থেকে একটি পদত্যাগ পত্রও লিখিয়ে আনেন। বেগম জিয়ার কক্ষে প্রবেশ করতেই তারেক জিয়া তাঁর দিকে (ড. কামাল সিদ্দিকি) তেড়ে আসেন। নোংরা ভাষায় তাঁকে গালাগালিও করেন। বলেন, ‘তুই আওয়ামী লীগের এজেন্ট। তোকেও গ্রেনেড দিয়ে মারা উচিৎ।’ এক পর্যায়ে বাবরের পদত্যাগ পত্রটি টেনে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন তারেক। বলেন, ‘কাউকে কিছু করতে হবে না, যা করার আমি আমি করবো।’ অপমানিত ড. কামাল সিদ্দিকী বেরিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রীর কক্ষ থেকে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।