নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটকে বিনে পয়সায় (ফ্রি অ্যাডভাইস) একটি উপদেশ দিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। বললেন, ‘বাংলাদেশে আগামী ১০ বছর কোনো তৃতীয় শক্তির সম্ভাবনা নেই। এদের পিছনে ঘুরে হতাশা ছাড়া কিছুই হবে না।’
গতকাল শুক্রবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে বার্নিকাটকে নৈশ ভোজে আমন্ত্রণ জানান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিদায় উপলক্ষে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। জেপি নেতা নৈশ ভোজের ফাঁকে ফাঁকে বাংলাদেশের রাজনীতি, আগামী নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে তাঁর মতামত দেন বার্নিকাটকে।
মঞ্জু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে গালি দেবে, কিন্তু ভোটের সময় এই দুই দলকেই ভোট দেবে। এর বাইরে জনগণ কাউকে চেনে না।’
পানি সম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, ‘পাকিস্তান কিংবা ভারতের নির্বাচনেও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে। এই উপমহাদেশের নির্বাচন কখনো ব্রিটিশ বা মার্কিন নির্বাচনের মতো আশা করা ঠিক হবে না।’ বার্নিকাটও তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন। বার্নিকাট বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রত্যাশার কথা বলি।’ মঞ্জু বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। সব দলও তাতে অংশ নেবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।