নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জামাতকে বিএনপির সঙ্গে একীভূত হবার পরামর্শ দিলেন ড. কামাল হোসেন। বিএনপি নেতাদের বললেন, ’জামাত তো এখন আর স্বীকৃত দল নয়, ওদের আপনারা নিয়ে নিন। ওদের প্রতীকও নেই, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ওদের নির্বাচন করতে হবে। তাই এখনই বিএনপিতে যোগ দিতে সমস্যা কোথায়।’ গতকাল রাতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তিনি ঐ পরামর্শ দনে।
যুক্তফ্রন্ট এবং ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের তারিখ ঠিক করতেই বিএনপি মহাসচিব ড. কামাল হোসেনকে টেলিফোন করেন। এর আগে, মির্জা ফখরুল ঐক্যের আলোচনা এগিয়ে নিতে টেলিফোন করেন অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে। যুক্তফ্রন্টের নেতা বলেন, ‘জামাত থাকায় আমাদের মধ্যে একটা অস্বস্তি আছে।’ বি. চৌধুরী অবশ্য বলেন, খুব দ্রুতই বিএনপির সঙ্গে আমাদের বসা দরকার। অধ্যাপক চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি তো একটা টকশোতে যাচ্ছি। কি করা যায় বলুন তো।’ বিএনপি মহাসচিব ঐক্য প্রক্রিয়াকে শুধু বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, আমরা তো ২০ দলগত ভাবে বসছি না। ২০ দল তো আলাদা।’ ড. কামাল তাঁকে জানান, ‘সেটাই তো সমস্যা ২০ দল রেখে কীভাবে আমাদের সাথে ঐক্য করবেন। দেখি আমি আপনাকে জানাবো। এরপরই ড. কামাল হোসেন ঐ প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টি যখন নিষিদ্ধ ছিল তখন তো তাঁরা ন্যাপে একীভূত হয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব অবশ্য এ প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। তবে, বিএনপি মহাসচিব ড. কামালদের এই আচরণের বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছেন। ঐ ফোন রেখে তিনি দলের নেতাদের বললেন, ‘এখনই এদের যে অবস্থা। মনে হচ্ছে উনি বোধহয় প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। এজন্যই ওনাদের দল প্রতিদিন ছোট হয়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মজা করে বলেন, ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। কর্মী নাই ভোট নাই বিশাল বড় নেতা।’
বিএনপির মহাসচিবকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আপনি কেন আগ বাড়াইয়া কথা বলতে যান। কয়টা দিন যাক না দেখবেন, ওরা অফিসের গেটে আইস্যা দাঁড়ায় থাকবো।’
বিনয়ী মহাসচিব এতে হেসে ফেলেন। বললেন, ‘দেশের এই অবস্থায় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। দেশের সবচেয়ে বড় দল হয়েও আমরা ঐক্যের জন্য হাত বাড়াচ্ছি, আর তাঁরা এমন ভাব করছে যেন ক্ষমতায় এসে গেছে।’
গয়েশ্বর এবার আবার হাসির খোরাক দিলেন, বললেন, ‘স্বৈরাচার, স্বৈরাচার করেন, জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন এই ডক্টর আর ডাক্তাররাই আসল স্বৈরাচার।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।