ইনসাইড পলিটিক্স

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধী কেন পরিবেশ অধিদপ্তর?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। বিজয়ের পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে মনোযোগ দেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে যাত্রা করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সরকার প্রতিনিয়ত উন্নয়ন কাজ করে চলেছে। কিন্তু কিছু ঘটনায় মনে হয়, সরকারের ভেতরেই যেন আরেক সরকার ঘাপটি মেরে আছে যাদের উদ্দেশ্য বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা। বর্তমানে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় অনেক স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির এবং বিএনপির লোকজন রয়েছে। এই দলটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজে সরকারের দপ্তরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভূক্ত পরিবেশ অধিদপ্তর। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে সরকার পরিচালিত সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ এই পরিবেশ অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ সরকার দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, আবাসন সমস্যার সমাধান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রেল, সড়ক ও নৌপথ উন্নয়নে বিগত বছরগুলোতে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়ক প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে। সব প্রকল্পে আপত্তি না করলেও রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জলসিড়ি আবাসন প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্পে পরিবেশগত ঝুঁকির অজুহাত দেখিয়ে বাগড়া দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের এই অনীহার কারণ হিসেবে অধিপ্তরে কর্মরত জামাত-শিবির, বিএনপি কর্মকর্তাদের দায়ী বলে মনে করা হয়।

বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিতর্কের সূচণা হয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তরের কারণেই। ২০১৪ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বলা হয় এই প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী, এই ধরনের প্রকল্পের জন্য প্রথমে অবস্থানগত ছাড়পত্র এবং পরবর্তীতে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের বিধান রয়েছে। এই আলোকে পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১১ সালের ২৩ মে অবস্থানগত ছাড়পত্র জারি করে এবং পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণে (ইআইএ) টিওআর অনুমোদন করে। ২০১৪ সালে প্রকল্পটি যে পর্যায়ে ছিল ওই পর্যায়ে প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্রের বিষয়টি আসে না। সে সময় অবস্থানগত ছাড়পত্রের বিষয়টি প্রযোজ্য ছিল। পরিবেশগত ছাড়পত্র জারির লক্ষ্যে প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করে অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর যন্ত্রপাতি আমদানি এবং সেগুলো স্থাপন করে পরিবেশগত ছাড়পত্রের আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রাপ্তির পর অধিদপ্তর পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান করে। কিন্তু ওই সময় এমন বক্তব্যের মাধ্যমে রামপালকে ঘিরে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশের ক্ষতিসাধন না হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণ ব্যবস্থা গ্রহণের পরও এমন অভিযোগ ছিল হতাশাজনক। পরবর্তীতে জানা যায়, তৎকালীন পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি জামাত-বিএনপি ঘরানার লোক বলে পরিচিত। স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাব নিয়ে তিনি যে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ভালো চোখে দেখবেন না এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবেন সে কথা বলাই বাহুল্য।

শুধু রামপালই নয়, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য সরকারের নির্দেশে নির্মিত জলসিড়ি আবাসিক প্রকল্পের কাজেও বাধা দিয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। ২০১০ সালে সরকার কর্তৃক জলসিড়ি প্রকল্পের উদ্যোগ গৃহীত হওয়া পর একটি মহল বলা শুরু করলো এই প্রকল্পে পরিবেশের ক্ষতি হবে, ফসলের ক্ষতি হবে। অথচ পরবর্তীতে এসব অভিযোগের কিছুই প্রমাণ করা যায়নি। অনুসন্ধানে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুয়েটে অধ্যয়নরত অবস্থায় শিবিরের হল শাখার নেতা ছিলেন তিনি। এখন ওই পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সবাই ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত।

রামপাল ও জলসিড়ি প্রকল্পের মতো যখনই যেখানে উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, সেখানেই তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর প্রত্যেকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পেরই পরিবেশ ছাড়পত্র দিতে বিলম্ব করছে অথবা অন্য কোনো ভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের বক্রদৃষ্টি থেকে রেহাই পায়নি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোও।

এবার পরিবেশ অধিদপ্তরের নজর পড়েছে দেশের উন্নয়নে গৃহীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনব ইকোনমিক জোন বা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগের ওপর। অর্থনৈতিক উন্নয়ন কেবল সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর এই সাধু উদ্যোগেও বাধার সৃষ্টি করছে।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীর তীরঘেষে ৮৩ একর জায়গার ওপর আমান ইকোনমিক জোন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। নদী দখলের অভিযোগ এনে ঢাকা অঞ্চল কার্যালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়।

সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিপক্ষ অবস্থান নেওয়া এক নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই সরকারই সারা দেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ২১টি জেলা অফিস স্থাপন করে এবং ৪৬৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করে পরিবেশ অধিদপ্তরের পদের সংখ্যা ২৬৭ থেকে ৭৩৫ টিতে উন্নীত করে। পরিবেশকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই সরকার এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও প্রতিটি কাজেই পরিবেশের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। এমনকি বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক পুরষ্কার `চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ` লাভ করেছন তিনি। অথচ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকেই পরিবেশ বিরোধী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

দুঃখজনক হচ্ছে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎপরতা দেখা গেলেও যে কাজগুলো তাদের করা উচিত সেগুলো তারা করছে না। ধলেশ্বরী নদীর পানি ট্যানারির বর্জ্যে দূষিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেই দূষণ প্রতিরোধে অধিদপ্তরের কোনো উদ্যোগ নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকার চারপাশের চারটি নদী বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর পানি দূষিত, কিন্তু এই নদীগুলো নিয়েও কোনো মাথা ব্যথা নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের। নিষিদ্ধ করার ১৬ বছর পরও পলিথিনের ব্যবহার এখনো বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। যদি পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হতো তাহলে ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই যে জলাবদ্ধতার সমস্যা সৃষ্টি হয় তা দূর করা কঠিন হতো না। পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দ দূষণ বন্ধে উদ্যোগ নেই, উদ্যোগ নেই ইটভাটার কারণে হওয়া পরিবেশ দূষণ বন্ধে। বরং ইটভাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপরি আয়ের উৎস।

বিভিন্ন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত সমস্যাগুলোর সমাধানে কোনো আগ্রহই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের। এর বদলে সরকারের সকল উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা দেওয়াই যেন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। জামাত-শিবির, বিএনপিপন্থী লোকজন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নেওয়ায় এমনটা ঘটছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।  

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।


আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   ক্ষমতা   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোটে অংশ নেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।

তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। 

অবশ্য এসব প্রার্থীর অনেকে এটি ‘দলীয় নির্বাচন নয়’ বলে দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ ‘জনগণ তাদের চাচ্ছে’– এমন অজুহাত দেখাচ্ছেন। এমনকি দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন– সেই ভয় উপেক্ষা করেই নিজেদের এ অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। আবার অনেকের দলে কোনো পদপদবিও নেই। অনেকে বহিষ্কৃত। এর পরও যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি হাইকমান্ড। শিগগির এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানা গেছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দলের এমন সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বাস্তবায়ন করছে দলটি। এ জন্য দফায় দফায় তৃণমূল নেতাকর্মী ছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক করেন নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতারা এই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত তুলে ধরেন। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ইচ্ছুকদের প্রথমে কাউন্সেলিং, নির্বাচনে না যাওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি দলের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। এর পরও যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, তাদের বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই উচ্চারণ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। 

এদিকে গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতারা বলছেন, স্থানীয় জনগণের চাপে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাছাড়া যেহেতু এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না তাই তারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছেন। আর তাই বহিষ্কারের বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছে না। তবে দল তাদের ব্যাপারে নমনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন এমনটাও প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলার বিএনপির প্রার্থী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচনে না যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন করব, দল যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নেবে।

বিএনপি   গণ বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় থানায় জিডি

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ২০ বছর যাবৎ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই।’ 

একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।’

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না, এটা ঠিক না’

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের। 

গতকাল সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে যান শাজাহান খান। এ সময় তার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি তো কথা শুনলেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তও মানলেন না।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তিরস্কার করেন শাজাহান খানকে।

জানা গেছে, শাজাহান খান এক পর্যায়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ছেলে আসিবুর রাজনীতিতে এসেছে। এ জন্যই সে প্রার্থী হয়েছে। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপির স্বজনের নির্বাচন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রতিউত্তরে শাজাহান খান বলেন, অনেকেরই নিকটাত্মীয় রাজনীতিতে আছেন।

ওবায়দুল কাদের এ সময় শাজাহান খানকে বলেন, ‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না। এটা ঠিক না।’ এর জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘আপনার সিদ্ধান্ত দেরিতে জানিয়েছেন। আগে জানালে ভালো হতো।’ তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমার নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোন সিদ্ধান্ত কখন দেবেন, সেটা কি আমাদের জিজ্ঞাসা করে দেবেন?’

শাজাহান খানের উচ্চস্বরে কথা বলা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিরক্ত হন ওবায়দুল কাদেরও। তিনি শাজাহান খানের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে দলের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। এর পরও আপনি সবার সামনে এসব অপ্রিয় কথা কেন বলছেন?

এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সংসদের দুই সদস্য আনিসুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মশিউর রহমান হুমায়ুন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী লোটন, বলরাম পোদ্দার এবং শাহজাদা মহিউদ্দিন।

ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন