নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারে বসা আদালতের বলেছেন, ‘এ মামলার ন্যায় বিচার নিয়ে সংশয় রয়েছে, যা খুশি সাজা দিন। আমি আর আদালতে হাজির হতে পারবো না।’
আজ বুধবার আদালত মুলতবি শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী একজন আইনজীবী একথা বলেন। ওই আইনজীবী বলেন, বেগম জিয়া আদালতে বলেছেন, আমার শরীর খারাপ। আপনারা যা খুশি শাস্তি দিন। আমি থাকলেও যে শাস্তি হবে না থাকলেও হবে। আমি আর এই আদালতে হাজির হতে পারবো না।
আজ বেলা ১২ টার দিকে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় খালেদা জিয়াকে তাঁর কক্ষ থেকে হুইল চেয়ারে করে পাশের আদালত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আদালতে অপর দুই আসামি মনিরুল ইসলাম ও জিয়াউল ইসলাম মুন্না উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বেগম জিয়ার আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
বেগম জিয়ার আইনজীবীদের অনুপস্থিতের বিষয়ে বাদিপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেছেন, ‘বিবাদীর আইনজীবীদের আদালতে অনুপস্থিত দু:খজনক।’
জিয়া এতিমখানা মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বেগম জিয়া। গত কয়েকমাস ধরে অসুস্থতার কথা বলে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার শুনানিতে উপস্থিত হচ্ছিলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। এ কারণে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। তাই এই মামলার বিচার সম্পন্ন করতে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। আজ কারাগারে আদালত বসার কথা জানানো হয়। গতকালের ওই ঘটনা দেশজুড়ে মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করা হয়। আজ প্রতিটি পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শীর্ষ সংবাদ ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কারাগারে আদালত বসার ঘটনা এবং দেশের ইতিহাসে প্রথম হিসেবে বেগম জিয়ার সেখানে মামলার শুনানি। তবে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে হাজির না হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে তাঁরা বিষয়টি জানেন না। এমনটাই জানিয়েছেন কারাগারের আদালত থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী একজন আইনজীবী।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।