নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগামী ২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। তখন মন্ত্রিপরিষদ সংকুচিত হবে।’ কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তাছাড়া যে সময় নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে, সে সময় প্রধানমন্ত্রী দেশেই থাকবেন না। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সকালে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদরে অধিবেশনে যোগ দেবেন। ২৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন ‘এরকম কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার কীভাবে করবেন, এটা সম্পূর্ণ তাঁর বিষয়। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে, যে মন্ত্রিসভা থাকবে, তাদের কার্যক্রম রুটিন কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। তিনি যখন উপযুক্ত সময় মনে করবেন তখনই এটা করবেন।’ জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বিস্মিত এবং হতবাক। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘এ রকম হুট হাট মন্তব্য করা ঠিক নয়। এসব বক্তব্য দিয়ে তিনি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন।’
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেও অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে হতবাক হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হাস্যোচ্ছ্বলে বলেছিলেন, ‘উনি কি জ্যোতিষী নাকি?’ প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলেছে, সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর নির্বাচনকালীন সরকারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই কেবল নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এখন নির্বাচনকালীন সরকার গঠন মানে উন্নয়নের যে বিপুল কর্মকাণ্ড চলছে তা বন্ধ হয়ে যাওয়া।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়ের জন্য নির্বাচন কমিশন যে সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে তখনই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি ২০১৪’র নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সে সময় নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।’
অবশ্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ যা বলেছি সবই অনুমান নির্ভর।’ জানা গেছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সবাই অর্থমন্ত্রীর লাগামহীন বক্তব্যে বিব্রত এবং বিরক্ত।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।